‘১৯৫৯ সালে দখল হয়েছিল অরুণাচলের জমি’, LAC-তে চিনা গ্রাম নিয়ে সরকারি সূত্রের দাবি

‘১৯৫৯ সালে চিনের দখল করা জমিতে গ্রাম নির্মাণ হয়েছে।’ অরুণাচলে চিনা গ্রাম ঘিরে বিতর্কের মাঝেই প্রতিক্ষা ক্ষেত্রের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করল সংবাদ সংস্থা এএনআই। ‘মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স অন মিলিটারি অ্যান্ড সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টস ইনভলভিং চায়না’-র এক রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এর আগে কেন্দ্রকে তোপ দেগে কংগ্রেসের তরফে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন যে অরুণাচলে আস্ত গ্রাম তৈরি করেছে চিন। এই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।

সেই খবরের প্রেক্ষিতে সংবাদসংস্থা এএনআইকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বলেন, ‘লংজু ঘটনা নামে পরিচিত একটি অপারেশনের মাধ্যমে ১৯৫৯ সালে অসম রাইফেলসের পোস্টকে অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এসেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। সেই সময় অরুণাচলপ্রদেশের সীমান্ত বরাবর এলাকা দখল করে তারা। সেই এলাকায় এই গ্রামটি তৈরি করেছে চিন।’

সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেওয়া পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়, এলএসি পেরিয়ে অরুণাচলের ভিতরে ঢুকে এসেছে চিন। সেখানে মিগিতুন শহরের কাছে, সারি নদী বরাবর আস্ত গ্রাম গড়ে তুলেছে তারা। যাতায়াতের জন্য নদী বরাবর পাকা রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে লোক এনে বসবাসও করাচ্ছে। প্রায় ১০০-র বেশি বাড়ি, এমনকি বহুতলও গড়ে তোলা হয়েছে ওই গ্রামে। সেখানে প্রশিক্ষিত চিনা বাহিনী এবং তাতে শামিল তিব্বতি যুবকদের মোতায়েন করা হয়েছে।

পেন্টাগনের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তিনি বলেছিলেন, ‘আমেরিকার কংগ্রেসে পেন্টাগন যে বার্ষিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে ভারতের জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার দাবিতে সিলমোহর পড়েছে। ওই রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, অরুণাচলপ্রদেশে সাড়ে ৪ কিলোমিটার ভিতরে আমাদের এলাকায় ঢুকে এসেছে চিন। সেখানে একটি গ্রাম গড়ে তুলেছে তারা। চিনের সাধারণ মানুষ যেমন সেখানে বাস করছেন। সেই গ্রামে নবনির্মিত বাড়িগুলিকে সেনা ছাউনি হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.