তাঁর মাথা থেকেই প্রথম বেরিয়েছিল আইপিএলের ভাবনা। ক্রোড়পতি লিগের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। কিন্তু এখন তিনি নির্বাসিত। সেই ললিত মোদী আইপিএল নিয়ে আবার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে।
আইপিএলে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। সেখানকার যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের পরামর্শদাতারা কথা বলেছেন আইপিএলের আধিকারিকদের সঙ্গে। চলতি বছর দুবাইয়ে হতে চলেছে আইপিএলের নিলাম। তবে আইপিএলে সৌদির বিনিয়োগ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আরও কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন ললিত।
একটি সাক্ষাৎকারে ললিত বলেন, ‘‘বোর্ডের কোনও কর্তা বা আধিকারিকের সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছর আমার কথা হয়নি। আমি বললেই কিছু এসে-যাবে না। কিন্তু আমি যদি এখন বোর্ডে থাকতাম তা হলে আইপিএলের পাশাপাশি একটা দ্বিতীয় সারির লিগ চালু করতাম। সেখানেও দল কেনা যেত। তবে আইপিএলের দলগুলোর থেকে কম দামে। তা হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ত। সৌদি আরব এমনিতেই আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্য দেশও দেখাত।’’
আইপিএলেও দলের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ললিত। তিনি বলেন, ‘‘২০ দলের আইপিএল করা উচিত। এই দ্বিতীয় সারির লিগ থেকে সবার উপরে থাকা দুটো দল প্রতি বছর আইপিএলের মূল লিগে খেলত। আবার আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সবার শেষে থাকা দুটো দল নীচের লিগে নেমে যেত। তা হলে আইপিএলের লড়াই আরও বাড়ত। জনপ্রিয়তাও বাড়ত।’’
ভারতে এখন এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। বেশি দিন এই ৫০ ওভারের ক্রিকেট চলবে না বলে মনে করেন ললিত। তিনি বলেন, ‘‘সবার আগে ৫০ ওভারের খেলা উঠে যাবে। এক দিনের ক্রিকেটের আর কোনও গুরুত্ব নেই। খেলাতে হয় তাই চলছে। ক্রিকেটারেরাও ধীরে ধীরে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছে। এর পরে শুধু টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেট চলবে। তা-ও পাঁচ দিনের নয়, চার দিনের আর দিন-রাতের টেস্ট। কারণ, সারা দিন ধরে ক্রিকেট দেখার ইচ্ছা বা সময় এখন কারও নেই। ক্রিকেট এখন শুধুই বিনোদন। তাই প্রয়োজনে তাতে বদল আনতেই হবে।’’
বোর্ডের এক সময়ের বড় কর্তা ললিতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তার পরে তদন্তে ললিতকে দোষী প্রমাণিত করে ২০১৩ সালে তাঁকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।