যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু। কীভাবে? ‘কোনও র্যাগিং হয়নি, মিথ্যা অভিযোগ। আমরা গরিব বলে ফাঁসানো হচ্ছে’, এক ধৃত অভিযুক্তের।
যাদবপুরকাণ্ডে ধরপাকড় অব্যাহত। পুলিসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক প্রাক্তন ছাত্র! পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের নাম জয়দীপ ঘোষ। বাড়ি, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। ২০২১ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এমএ পাস করেন তিনি।
এদিন যখন ধৃতকে আদালতে আনা হয়, তখন প্রিজন ভ্যানে ছিলেন আরও ২ জন। যাদবপুরকাণ্ডে খুনের অভিযোগ তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিস। পড়ুয়ার মৃত্যুতে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ‘মিথ্যা’ দাবি করেন ওই ২ জনের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটি নিজে করিডর থেকে ঝাঁপ দেয়’। মাত্র ৩ আগেই যে হস্টেলে এসেছিল, সে কেন এমন কাণ্ড ঘটাল? তার অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেননি ওই অভিযুক্তরা।
এদিকে যাদবপুরকাণ্ডে পুলিসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আলাদা একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিস। লালবাজার সূত্রে খবর, সেদিন ঘটনার খবর পেয়ে যখন যাদবপুরের হস্টেলে পৌছয় পুলিস, তখন গেটে তালা বন্ধ ছিল। পুলিসকে কার্যত ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল হস্টেলে নিরাপত্তারক্ষী, এক প্রাক্তনী-সহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। অবশেষে গ্রেফতার করা হল প্রাক্তন ছাত্র জয়দীপ ঘোষকে।
সূত্রের খবর, আদালতে সরকারি আইনজীবীর দাবি, ‘শুধু হস্টেলে গেট বন্ধ করে পুলিসকে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন নয়। জয়দীপকে জেরা করে জানা গিয়েছে, পুলিস যখন হাসপাতালে পৌঁছয়, তখন মৃত পড়ুয়ার কাছে পৌঁছতে, এমনকী মৃত্যুকালীন জবাবন্দি নিতে বাধা দেয় অভিযুক্ত’। তিনি জানান, ‘সেদিন রাতে বিক্রমগড়ে নিজের বাড়িতে ছিলেন জয়দীপ। এক পড়ুয়া ফোন করে তাঁকে হস্টেলে আসতে বলে। ধৃতকে জেরা করে গেট আটকে ছিল, এমন ১১ জনের নাম জানতে পেরেছে পুলিস’।