তিন বছরে দ্বিতীয় বার নির্বাসনের মুখে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন, নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দিল ফিফা, না মানলেই শাস্তি

তিন বছরে দ্বিতীয় বার ফিফার নির্বাসনের সামনে ভারতের ফুটবল ফেডারেশন। মঙ্গলবার রাতে ফিফা এবং এএফসি-র তরফে চিঠি পেয়েছে তারা। জানানো হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন সম্পূর্ণ না হলে ফিফার শাস্তির মুখে পড়বে ফেডারেশন। সম্ভাব্য নির্বাসনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে পাঠানো চিঠিতে ফিফা জানিয়েছে, নতুন সংবিধান চূড়ান্ত করা এবং রূপায়ণে বার বার দেরি হওয়ায় তারা ‘গভীর ভাবে চিন্তিত’। ২০১৭-য় সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি ওঠার পর থেকেই ঝুলে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ ফিফার। ফলে ভারতীয় ফুটবলে ‘অসহনীয় শূন্যতা এবং আইনি অনিশ্চয়তা’ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

চিঠিতে সই করেছেন ফিফার সদস্য দেশগুলির মুখ্য কর্তা এলখান মামাদভ এবং এএফসি-র সদস্য দেশগুলির ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি ভাহিদ কারদানি। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে, নতুন সংবিধানের সাহায্য নিয়ে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা। ফেডারেশনের পরবর্তী সাধারণ সভার বৈঠকে নতুন সংবিধান রূপায়ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সব কিছুই ফেডারেশনকে করতে হবে স্বাধীন ভাবে। সরকার-সহ কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। না মানলে বিষয়টি পাঠানো হবে ফিফার নির্দিষ্ট শাখার কাছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাসিত হতে পারে ফেডারেশন।

আপাতত ফিফার পাঠানো চিঠি সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠাবেন কল্যাণ। কেন্দ্রের ক্রীড়া এবং যুবকল্যাণ মন্ত্রককেও জানাবেন। এর পরে দ্রুত রায়দানের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করা হবে। উল্লেখ্য, ফেডারেশনের সংবিধান নিয়ে মামলা ২০১৭ থেকে সুপ্রিম কোর্টে চলছে। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তাদের রায় তৈরি করা হয়েছে। তবে নতুন ক্রীড়ানীতি মেনে যাতে সংবিধান তৈরি করা হয়, তার জন্য রায়দান পিছিয়ে দিয়েছে তারা।

২০২২-এর ১৬ অগস্ট ফেডারেশনকে নির্বাসিত করেছিল। কারণ সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত প্রশাসকদের কমিটি ফেডারেশনের কাজকর্ম দেখছিল, যা ফিফার কাছে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছিল। ১৫ দিন পর নির্বাসন ওঠে। এর পর নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি হন কল্যাণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.