রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চিত নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, প্রথম দফার তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি আধাসেনা প্রয়োজন, যা পাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কমিশন।
১৯ এপ্রিল, রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। ওই দিন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি— এই তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, একটি বিধানসভা ক্ষেত্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হলে কমপক্ষে ১৬ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। ফলে একটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দরকার ১১২ কোম্পানি বাহিনী। ওই হিসাব অনুযায়ী, ৩৩৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হবে তিনটি আসনের জন্য। এ ছাড়াও ভোটের দিন নজরদারির জন্য বাড়তি বাহিনী প্রয়োজন।
কমিশন বলছে, আট থেকে ১২টি বুথ নিয়ে একটি সেক্টর তৈরি হয়। একটি সেক্টরে আট থেকে ১০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য থাকেন। অর্থাৎ, প্রথম দফার জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি বাহিনী লাগবে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রথম দফার দু’টি আসনে সব বুথে কেন্দ্রীয় দিতে পারেনি কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই দুই আসনের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আদতে প্রয়োজন ছিল তার থেকে বেশি।
কমিশনের একটি সূত্র বলছে, রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, ওই দুই দফায় দেশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট রয়েছে। তবে প্রথম দফার আগে রাজ্যে আরও কিছু বাহিনী আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফার ভোটের আগে আরও কিছু কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে আসবে।