দিল্লি হাইকোর্ট পেতে চলেছে প্রথম সমকামী বিচারপতি। ইতিহাস গড়ার এই মুহূর্ত তৈরি হয়েছে কারণ, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এই পদের জন্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৌরভ কৃপালের নাম সুপারিশ করেছে। গত ১১ নভেম্বর কলেজিয়ামের বৈঠকে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগেও সুপ্রিম কলেজিয়ামের তরফে কৃপালের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির পদের জন্য। কিন্তু সেই সময় স্বার্থের সংঘাত অজুহাত দেখিয়ে কৃপালকে সেই পদ দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, কৃপালের সঙ্গী একজন ইউরোপীয় এবং তিনি সুইজারল্যান্ডের দূতাবাসে কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে প্রথমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নাম সুপারিশ করা হয়েছিল কৃপালের। সেই সময় কলেজিয়ামের সুপারিশ অগ্রাহ্য করেছিল কেন্দ্র। এরপরও ২০১৯-এর জানুয়ারি, এপ্রিল এবং গত বছরের অগস্টে কৃপালকে নিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে কলেজিয়াম। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের যুক্তির স্বপক্ষে তথ্য চেয়ে আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে চিঠি লেখেন তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে। গোয়েন্দা তথ্যের ব্যাখ্যা পাঠান বিচারপতি বোবদে। তবে কেন্দ্রের তরফে একটি জবাবই দেওয়া হয়, ‘কৃপালের সঙ্গী বিদেশি।’
এরই মাঝে ২০১৮ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের এই ধারায় সমকামকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হত। এই মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী ছিলেন কৃপাল। প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করা কৃপাল গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা বিএন কৃপাল ২০০২ সালে ভারতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।