মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছে বার বার। ডাক্তারেরা প্রথম থেকে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় ছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর নবান্নে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মেল করে ডাকা হয়েছিল। মেলের ভাষা ‘অবমাননাকর’ দাবি করে বৈঠকে যোগ দিতে যাননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই মেল করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এর পর ১২ সেপ্টেম্বর ফের নবান্নে ডাকা হয় ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের। মুখ্যমন্ত্রী দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করলেও সে দিন বৈঠক হয়নি। সরকার পক্ষ সরাসরি সম্প্রচারে রাজি হয়নি। আন্দোলনকারীরাও ছিলেন অনড়। শেষে নবান্ন থেকে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। ভেস্তে যায় বৈঠক। গত শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। এর পর তাঁদের সন্ধ্যা ৬টায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা হয়। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার এবং বৈঠকের ভিডিয়োগ্রাফির দাবি নিয়ে মতানৈক্যের কারণে বৈঠক আবার ভেস্তে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে অপেক্ষা করেছিলেন ডাক্তারেরা। মমতা নিজেও বেরিয়ে এসেছিলেন। বৈঠক না করতে চাইলে তাঁদের চা-পানের জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে দিনও ভেস্তে গিয়েছিল বৈঠক। সোমবার সকালে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আন্দোলনকারীদের ইমেল করে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে ফের বৈঠকে ডাকা হয়। বিকেল ৫টায় বৈঠকের সময় নির্ধারিত হয়। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় বৈঠক। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শেষ হয় বৈঠক।
শুধু মূল বিষয়গুলি
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:৩৯
বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি
বিক্ষোভস্থলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডাক্তারদের প্রতিনিধি দেবাশিস হালদার বলেন, “আন্দোলনকারীদের কাছে নতস্বীকার করল রাজ্য সরকার। ৩৮ দিন পর আমাদের জয়। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স সকলের। সবাই মিলে পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব ছিল না। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।” তিনি আরও বলেন, “আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না বিক্ষোভ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব। ”
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:১৯
টাস্ক ফোর্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন ডাক্তাররা
ডাক্তারদের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শুধু মাত্র টাস্ক ফোর্স গঠন করে এই সমস্যার সমাধান হবে না। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি, থ্রেট কালচার তৈরি হয়েছে তা সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডাক্তারেরা। ডাক্তাদের এক প্রতিনিধি বলেন, “যেটুকু দাবি আমরা পূরণ করিয়ে আনতে পেরেছি সেটাও আমাদের আন্দোলনের জয়। এটুকু পেতে আমাদের ৩৮ দিন সময় লেগে গেল। আমরা বিক্ষোভ মঞ্চে ফিরে যাচ্ছি। সেখানে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে তার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি রয়েছে সে দিকে নজর থাকবে আমাদের। এ ছাড়াও কত দিনে আমাদের দাবিগুলি বাস্তবায়িত হয় সে দিকেও নজর থাকবে আমাদের।”
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৭
কী বললেন ডাক্তাররা
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বৈঠক শেষে বাসে উঠে যান বৈঠকে উপস্থিত চিকিৎসকেরা। বাসে ওঠার আগে চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি বলেন, “বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা সদর্থক। কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। সিপি বিনীত গয়াল এবং ডিস নর্থের অপসারণের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি দুই স্বাস্থ্যকর্তাকেও সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এর পাশাপাশি বলেন, “প্রিন্সিপাল স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছেন তিনি। ”
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৮
বেরোলেন চিকিৎসকেরা
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরোলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৭
অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডাক্তারদের
এর আগে বার বার ভেস্তে গিয়েছে সরকার পক্ষের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক।গত শনিবারও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। আলোচনা হয়নি। সেই আবহেই সোমবার দুপুরে রাজ্যের মুখ্যসচিব আবার আলোচনা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান জুনিয়র ডাক্তারদের। বিকেল ৫টায় বৈঠকের সময় নির্ধারিত হয়। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় বৈঠক। রাত পৌনে ন’টা নাগাদ শেষ হয় বৈঠক।