ভোটের পরের দিনই মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ কুনওয়ার সর্বেশ সিংহের। দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। অসুস্থতার কারণে ভোটের প্রচারেও অংশ নেননি। শুক্রবার প্রথম দফাতেই মোরাদাবাদ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। তার ঠিক পরের দিন শনিবার দিল্লি এমস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সর্বেশের। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
২০১৪ সালে প্রথম মোরাদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন সর্বেশ। ২০১৯-এও তাঁকেই প্রার্থী করে বিজেপি। তিনি জিতে দ্বিতীয় বারের জন্য সাংসদ হন। এর পর তৃতীয় বার ২০২৪ সালেও মোরাদাবাদের জন্য তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছিল দল। তবে টিকিট পেয়েও এ বার শারীরিক কারণে ভোট থেকে দূরেই ছিলেন। ওই কেন্দ্রে তাঁর সমর্থনে প্রচার করেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সর্বেশকে এক দিনের জন্যেও নিজের প্রচারে দেখা যায়নি।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সর্বেশের গলায় কিছু সমস্যা হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরে তারই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিছু দিন আগে তাঁর গলায় অস্ত্রোপচারও হয়। শনিবার তিনি দিল্লি এমসে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। সেখানে নতুন করে তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সর্বেশের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ উত্তরপ্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘মোরাদাবাদের বিজেপি প্রার্থী কুনওয়ার সর্বেশ সিংহের মৃত্যুর খবরে আমি স্তম্ভিত। বিজেপি পরিবারে এটি অপূরণীয় একটি ক্ষতি। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ভগবান রামের কাছে আমার প্রার্থনা, ওঁর আত্মা শান্তি পাক, এই দুঃখ সইতে পারার ক্ষমতা পান ওঁর পরিবারের মানুষ।’’
সর্বেশ পেশায় ছিলেন ব্যবসায়ী। উত্তরপ্রদেশের বিজেপির শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতে মোরাদাবাদের সাংসদ হওয়ার আগে তিনি ঠাকুরদ্বারা বিধানসভা কেন্দ্রের চার বারের বিধায়ক ছিলেন। সর্বেশের পুত্র সুশান্ত সিংহও বিজেপি বিধায়ক।
শুক্রবার ভোটগ্রহণ হয়েছে মোরাদাবাদ-সহ পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের আটটি কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছে। মোরাদাবাদে ভোটের হার ছিল ৬০.৬০ শতাংশ।