উত্তর-পূর্বের নিরাপত্তা গতিবিধির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দুই শীর্ষ জেনারেল মণিপুর হামলায় চিনের হাত থাকার কথা সন্দেহ করছেন। জঙ্গিরা মায়ানমার সীমান্তের কাছে অসম রাইফেলসের একটি কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে একজন কর্নেল, তাঁর স্ত্রী, তাদের ৮ বছর বয়সী ছেলে সহ ৫ সৈন্যকে হত্যা করে। সেই হামলার দায় স্বীকার করে পিএলএ মণিপুরের অধীনে থাকা রেভোলিউশনারি পিপল’স ফ্রন্ট। আর সেনার অবসরপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ আধিকারিকের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে চিনা মদত থাকতে পারে।
এই হামলার বিষয়ে ২০১৭ সালে অবসর নেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল কনসাম হিমালয় সিং হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘এই বিদ্রোহী দলগুলো সাধারণত নারী ও শিশুদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় না… তবে এই সর্বশেষ হামলাটি এমন এক সময়ে হল, যখন বিদ্রোহীরা তাদের প্রাসঙ্গিকতা প্রতিষ্ঠা করার একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত বেশ কয়েক বছরে মণিপুরে সহিংস ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেও গিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে চিনের বাত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জেনারেল হিমালয় সিংয়ের মতোই লেফটেন্যান্ট জেনারেল শোকিন চৌহানও (অবসরপ্রাপ্ত) হামলার নেপথ্যে চিনা প্রভাবের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তিনি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘মণিপুরের পিপলস লিবারেশন আর্মি চিনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে বলে জানা যায়। চিনের সাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তেজনা চলাকালীন এই অঞ্চলে আরও বাহিনী মোতায়েন করতে ভারতকে বাধ্য করার জন্য এই আঘাত চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, শনিবার মণিপুরের চূড়াচন্দ্রপুরে অসম রাইফেলসের কনভয়ের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় ৪৬ অসম রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠী তাঁর স্ত্রী-সন্তান মারা যান। তাছাড়া সেনার আরও চার জওয়ান মারা যান এই হামলায়।