কয়েকদিন আগে মহানগরীর বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন পুর–প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি অনুরোধ করেছিলেন, দয়া করে সবাই মাস্ক পরুন। আর দূরত্ববিধি বজায় রেখে চলুন। করোনাভাইরাস আবহে এটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু তিলোত্তমার মানুষজন তা শুনলেন না। মানছেন না দূরত্ববিধি। এমনকী পরছেন না মাস্কও। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ ১২০০ মানুষকে আটক করেছে। অগস্ট মাসে কোভিড– ১৯–এর তৃতীয় ঢেউ আসার কথা। তার আগে এই অবস্থা উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
লালবাজার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১২৭৮ জন মানুষকে আটক করা হয়েছে। মাস্ক না পরা, এই অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং রাস্তায় থুতু ফেলা–সহ নানা কারণে আটক করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। ১৫ অগস্ট পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। নাইট কার্ফু বহাল রয়েছে। এই বিধিনিষেধ যাঁরা লঙ্ঘন করছেন তাঁদের জরিমানা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশ সম্প্রতি ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পার্ক হোটেল থেকে। কারণ তাঁরা কোভিড–১৯ বিধি না মেনে পার্টি করছিল। করোনা সংক্রমণ কলকাতায় কখনও বাড়ছে কখনও কমছে। এই অবস্থায় করোনাভাইরাস বিধি মানা বাধ্যতামূলক। যা অনেকেই মানছেন না বলে অভিযোগ কলকাতা পুলিশের। লোকাল ট্রেন এখনও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বাস–ট্রাম চলছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টিকাকরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ অক্টোবর মাসে চূড়ায় উঠতে পারে। তাই বিধিনিষেধের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো বাড়ানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি বোর্ডের সঙ্গে আজ বৈঠক করবেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই ১০ জন চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।