কুন্তলকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নিয়োগের জন্য দেন অয়ন। কুন্তলের নির্দেশেই ২৬ কোটি টাকা কুন্তলের নির্দেশে একজন এজেন্টকে দিয়েছিলেন অয়ন। সেই টাকা কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের কাছে পৌঁছায়। এমনকী দুর্নীতির টাকায় প্রচুর স্থাবর অস্থাবর সম্পতি কেনে অয়ন। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা অয়ন চুঁচুড়াতে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিযোগ করেন বলে দাবি ইডির। অয়নের ছেলে অভিষেকের বান্ধবীর বাবা সরকারি উচ্চপদস্থ আমলা বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায় এবং অভিষেক শীল যৌথ ভাবে একটি পেট্রোল পাম্প কেনে। যেখানে “ইক্যুয়াল ইনভেস্টমেন্ট” রয়েছে বলে দেখানো হয়। যে পুরো টাকা অয়ন দেন বলেই ইডির দাবি। এছাড়া এই দুজনের নামে যৌথ অংশীদারিত্বে একটি কোম্পানি খোলা হয়। অভিষেক ও ইমনের নামে একটি রেঁস্তোরা খোলা হয়। এগুলি নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই হয়েছে বলে দাবি। অয়ন জেরায় দাবি করে পুরসভায় নিয়োগের জন্য বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত টাকা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নেতাদের কাছে বিলি করা হয়।
তার আরও দাবি, কোম্পানির বিভিন্ন কর্মীদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয় এবং তার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঘোরানো হয়। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার অয়নের স্ত্রী কাকলি ও বান্ধবী শ্বেতাকে তলব ইডির। অয়নের ছেলে অভিষেককেও তলব করে তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে আলাদা দিনে ডাকা হয়েছে তিন জনকে। উল্লেখ্য, ইডি তদন্তে নেমে অভিষেকের বাবা অয়নের বাড়িতে বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার উত্তরপত্র পেয়েছে। মিলেছে বহু ওএমআর শিটও। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগই নয়, বিভিন্ন পুরসভায় বেআইনিভাবে নিয়োগ সংক্রান্ত বহু কাগজপত্রও অয়নের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।