ইজ়রায়েলের পাশে দাঁড়ানোর কথা আগেই জানিয়েছিলেন। এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, আমেরিকার সাহায্যে ইরানের ড্রোন হামলার মোকাবিলায় সফল হয়েছে ইজ়রায়েল। ইরান থেকে ছোড়া প্রায় সব ড্রোন গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০টি ড্রোন দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। বলা হচ্ছিল, ড্রোনগুলি লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। তার আগেই আমেরিকার সেনাবাহিনী আকাশপথে ড্রোনগুলিকে ধ্বংস করার জন্য গুলি ছোড়ে। একের পর এক ড্রোন গুলি করে নষ্ট করা হয়। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেনও এই কাজে ইজ়রায়েলকে সাহায্য করেছে।
ইজ়রায়েলে ইরানের হামলা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলের বাহিনীকে সাহায্য করতে আমার নির্দেশে আমেরিকার সেনা গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় একাধিক যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী বিমান পাঠিয়েছে। এই অত্যাধুনিক বিমান এবং আমাদের সেনাবাহিনীর অসাধারণ দক্ষতায় আমরা ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক’টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে ইজ়রায়েলকে সাহায্য করতে পেরেছি।’’
ইজ়রায়েলের প্রতি ‘লৌহবৎ’ দৃঢ় সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন বাইডেন। ইরানের হামলার পরেই তিনি ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং পরিস্থিতির তদারকি করেন। নেতানিয়াহু ইরানের হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমাদের উপর যারা হামলা চালাবে, আমরাও তাদের উপর হামলা করব। যে কোনও রকম হুমকির বিরুদ্ধে আমরা মাথা উঁচু করে রুখে দাঁড়াব। এটাই ইজ়রায়েলের নীতি।’’
গত মাসে সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানীয় দূতাবাসের উপরে বোমা হামলা চালায় ইজ়রায়েল। তার পাল্টা হিসাবেই রবিবার তেহরান শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইজ়রায়েলের দিকে। যা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
অন্য দিকে, ইরান-ইজ়রায়েল পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরানো দরকার। হিংসা নয়, আশ্রয় নিতে হবে কূটনীতির। ইজ়রায়েলের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে নয়াদিল্লি।