‘দাদা’র জন্মদিনে বিশেষ উপহার অনুরাগীর, ডিমের উপরে ফুটে উঠল সৌরভের প্রতিকৃতি

৪৯ বছরে পা দিলেন ‘মহারাজ’। বুধবার রাত ১২টা থেকেই শুভেচ্ছার বন্যা। দিন গড়াতেই শুরু হয়েছে সেলিব্রেশন পর্বও। পরিবারের মানুষজন থেকে অনুরাগীরাও মেতে উঠেছেন তাঁর জন্মদিনে। প্রিয় ‘দাদা’র প্রতি তাঁদের ভালোবাসা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করছেন। এমনই এক অনুরাগী রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly’s Birth Day) জন্মদিনে বানিয়ে ফেলছেন এক বিশেষ উপহার। তাক লাগানো সেই শিল্পকর্ম এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। কী সেই উপহার?

ডিমের খোসার উপরই তৈরি করে ফেলছেন সপরিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতি। এই প্রতিকৃতি স্বয়ং ‘দাদা’র হাতেই তুলে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শিল্পী প্রসেনজিৎ দাস। তবে এ বছরই প্রথম নয়, প্রতি বছরই মহারাজের জন্মদিনে বিশেষ বিশেষ উপহার তৈরি করেন তিনি।


কালনার শ্যামগঞ্জপাড়াতে বাড়ি প্রসেনজিৎ দাসের। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা অধুনা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভের অন্ধভক্ত তিনি। তাই এ বছর প্রিয় ‘দাদা’কে জন্মদিন উপলক্ষে বানিয়ে ফেলেছেন অদ্ভুত এই শিল্পকর্ম। রাজহাঁসের ডিমের লম্বায় সাড়ে তিন ইঞ্চি ও ছয় ইঞ্চি পরিধির খোলায় ড্রিল মেশিন ও নরুন দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন সৌরভের প্রতিকৃতি। কোনওটায় ব্যাট ধরে ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ‘দাদা’। কোথাও আবার কলার তুলে ‘দাদাগিরি’ করছেন তিনি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও কন্যা সানা গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতি শোভা পাচ্ছে ওই ডিমের খোলায়। সেখানে একটি গোলাপ ফুলও রয়েছে। প্রসেনজিৎ জানান, “অসাধারণ খেলোয়াড় হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সারা বিশ্বের মানুষ চেনেন। বাংলা ও বাঙালির আইকন দাদার জন্মদিনে আমার তরফে এই ছোট্ট নিবেদন।”

শিল্পী আরও জানান, “দাদা আমার ভীষণ পছন্দের মানুষ। তাঁর হাতে তুলে দেব বলেই এটা তৈরি করেছি। গত বছরের জন্মদিনে শুধু দাদার প্রতিকৃতি তৈরি করিছিলাম। এবার দাদার পরিবারের প্রতিকৃতিও বানিয়েছি।” যদিও তিনি জানেন না এই উপহার কবে মহারাজের হাতে তুলে দিতে পারবেন। তবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সৌরভের সঙ্গে তাঁর দেখা হতে পারে জানিয়েছেন শিল্পী।


বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত প্রসেনজিৎ দাস এর আগে ডিমের উপর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু থেকে রামকৃষ্ণ, মহাত্মা গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন তিনি। এই শিল্পকর্মের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি। নাম তুলেছেন ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডসেও। ডিমের উপর এই সূক্ষ্ম শিল্পকর্ম তৈরির বিষয়ে প্রসেনজিৎ জানান, “ডিমের নিচের অংশের দিক থেকে কুসুম বের করে নিয়ে ডিমটিকে ভালো করে ধুয়ে নেওয়া হয়। আর তারপরেই সেটিকে কাজের উপযুক্ত করে ড্রিল মেশিন ও নরুন দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন তৈরি করা হয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.