সামরিক প্রশক্ষিণ কেন্দ্রে রাখা ৭৫ কোটির হেলিকপ্টারের ডানা অস্বাভাবিক ভাবে নড়ছে। ভিতর থেকে ভেসে আসছে গোঙানির আওয়াজ। সন্দেহের বশে সেই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের ভিতর উঁকি দিতেই চক্ষু ছানাবড়া রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের। তাঁরা দেখেন, মত্ত অবস্থায় বহুমূল্য কপ্টারটির ভিতর সঙ্গম করছেন দুই সেনা।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাতে কাজ সেরে ফিরছিলেন সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কয়েক জন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী। অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা কপ্টারটির ডানা নড়তে দেখেন। সেই দৃশ্য দেখেই চমকে যান তাঁরা। এর পর তাঁদের কানে গোঙানির আওয়াজ ভেসে আসে। ভাল করে কান পেতে বুঝতে পারেন, আওয়াজ আসছে কপ্টারের অন্দর থেকেই। হেলিকপ্টারটির ভিতরে কিছু রয়েছে কিনা তা দেখার জন্য উঁকি দিতেই হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন সামরিক কপ্টারের পিছনের ককপিটের ভিতর মত্ত অবস্থায় সঙ্গম করছেন দুই সেনা।
সামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উভয় সেনাকে পোশাক পরে হেলিকপ্টার থেকে বেরিয়ে আসতে বলা হলে টলতে টলতে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। পুরুষ সেনার শরীরে উর্দি থাকলেও মহিলা সেনাকর্মী অসামরিক পোশাকে ছিলেন।
ওই দুই সেনা যে হেলিকপ্টারে ধরা পড়েছিলেন সেটি আর্মি এয়ার কর্পসের ৬৫৩ স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাপাচে কপ্টার ৩০ মিলিমিটারের কামান-সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। দাম প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যম, দ্য সান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ২০১৬ সালে নর্থাম্বারল্যান্ডের অটারবার্ন রেঞ্জে ঘটেছিল। তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে খবরটি।