ভাসছে উত্তরবঙ্গ। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে কবে আসছে বৃষ্টি? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা-সহ আশপাশের জেলার আকাশে মেঘ রয়েছে। আপাতত আকাশ মেঘলা থাকবে। বুধবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণের সব জেলায়। তার জেরে গরম কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মে মাসের শেষ দিন উত্তরবঙ্গে বর্ষা এসেছে। কিন্তু দক্ষিণে তার আগমন বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলেছিল, বর্ষা আসবে চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায়। অর্থাৎ, মঙ্গল অথবা বুধবার। মঙ্গলবার আলিপুর হাওয়া অফিস জানাল, বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে। তার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর উত্তর অংশটি এখনও ইসলামপুরেই থমকে রয়েছে। এ দিকে উত্তর-পূর্ব অসম এবং আশপাশের এলাকার উপর বিস্তৃত রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১.৫ কিলোমিটার উঁচুতে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু। সে কারণেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।
হাওয়া অফিসের পূ্র্বাভাস, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বুধবার পর্যন্ত চলবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার)। সেখানে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী শনিবার পর্যন্ত এই তিন জেলায় চলতে পারে ভারী বৃষ্টি। এই তিন জেলার সঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বুধবার পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি।
কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব জেলায় বুধবার থেকে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শনিবার পর্যন্ত এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে জেলার সব জায়গায় ঝড়বৃষ্টি হবে না। বিক্ষিপ্ত ভাবে চলবে। এই ঝড়বৃষ্টির কারণে আগামী তিন দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তার পরেও তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না।