রাজ্য সরকারের দাবিপূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী। আমফান বিধ্বস্ত বাংলার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা নরেন্দ্র মোদির। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে আমফানের বলি হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। তাঁদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথাও জানান তিনি। এর আগে বৃহস্পতিবার মৃতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলায় এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান তিনি। সেই অনুরোধ রেখেই প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বাংলায় আসেন। সকাল প্রায় ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে রওনা দেন তিনি। ১০.৫০ নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব সিনহা। এছাড়াও ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়।
এরপর তিনটি চপারে করে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা। একটি চপারে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আরেকটি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি এবং বাবুল সুপ্রিয়। আরেকটিতে ছিলেন মোদির সচিবালয়ের কর্তারা। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরিদর্শনের পর বসিরহাট কলেজ প্রাঙ্গণে চপার থেকে নামেন তাঁরা। সেই সময় পুষ্পবৃষ্টি হয়। করোনা সতর্কতা মেনে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপও নেওয়া হয়। বসিরহাট কলেজের একটি ঘরে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী একযোগে বৈঠকে বসেন। ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এছাড়াও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি, বাবুল সুপ্রিয়রা ছিলেন ওই বৈঠকে। রাজ্যের একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক ওই বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে বাংলা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা দেখে আমি ব্যথিত। কেন্দ্র থেকে একটি দল পাঠানো হবে। কৃষি, বিদ্যুৎ পরিষেবা ইত্যাদি খতিয়ে দেখবে তারা। এই সময় গোটা দেশ বাংলার পাশে আছে। আপাতত এক হাজার কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। যদি দেখা যায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি, তাহলে আরও অর্থ দেওয়া হবে। এছাড়াও নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য।” উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার আমফানে নিহতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।