তিস্তার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় মুখপাত্র এবং দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বুধবার এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, যাঁরা বর্তমানে আমাদের অঞ্চলে ঘটা ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি, আমি দার্জিলিং পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এবং সিকিমের সেই জনগণের সাথে আমার সংহতি প্রকাশ করছি। আমি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে যোগাযোগ করেছি। সমগ্র সিকিম, দার্জিলিং, কালেবুং, জলপাইগুড়ি অঞ্চলের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিক্রিয়া দল গঠন করার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেছি।
আমি কালেবুংয়ের জেলা সভাপতি, এনএইচপিসি আধিকারিক এবং এনডিআরএফ টিমের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। কালেবুং, দার্জিলিং এবং সিকিমের সীমান্ত এলাকার জন্য জীবনরেখা হিসাবে কাজ করে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর অনেক জায়গা ভেঙ্গে গেছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এনডিআরএফ দলকে মাঝপথে থামানো হয়নি কারণ রাস্তাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনটি এনডিআরএফ দল বর্তমানে শিলগড়হিমায় আটকে আছে। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে যাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তাঁদের প্রয়োজনীয় জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়।”
একটি ভিডিও ও তিনটি ছবি যুক্ত করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এক্স হ্যাণ্ডেলে লিখেছেন, “সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমরা সিকিমের মানুষের পাশে আছি।”
প্রসঙ্গত, বুধবার কাকভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয় উত্তর সিকিমে। বিপুল পরিমাণ জল লোনক হ্রদ ধরে রাখতে পারেনি। ফলে বাঁধ ভেঙ্গে সেই জল সরাসরি চলে আসে তিস্তায়। মূলত হিমবাহ গলা জলে পুষ্ট তিস্তায় অতিরিক্ত জল ঝড়ের বেগে নীচে নেমে আসতে শুরু করে। পথে চলে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা।
সূত্রের খবর, জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছিল ১৫ থেকে ২০ ফুট। সেনা জানিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সিংথামের কাছে বারদাং সেনা ছাউনিতে পার্ক করে রাখা ৪১টি গাড়ি। ২৩ জন সেনা জওয়ানও জলে ভেসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে সেনা।