কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ের কারণ হতে পারে তালিবানের লুঠ করা মার্কিন অস্ত্র, শঙ্কা BSF-এর

কাবুল দখলের পরই তালিবানকে দেখা গিয়েছিল বিগত সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন মার্কিন সামরিক যান ও অস্ত্র নিজেদের কবলে নিতে। কাবুলের রাস্তায় মার্কিন সামরিক যানে তালিবানি প্যারেডও দেখা গিয়েছে। এখন সেই অস্ত্রই কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল বিএসএফ। তালিবান সরকার যে ভারতীয়দের জন্য সুখবর নয়, তা প্রথম থেকেই ধারে ইঙ্গিতে বুঝিয়েছে সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তা থেকে সরকারের বিভিন্ন স্তরের আমলারা। তবে আলোচনা তালিবানের সঙ্গেও হয়েছে। তবে এরই মাঝে বিএসএফের উদ্বেগ, তালিবানি লুঠের অস্ত্র রক্তক্ষয়ের কারণ হতে পারে কাশ্মীরে।

মঙ্গলবার বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল পঙ্কজ সিং বলেন, ‘তালিবানের জঙ্গিরা এখন আর বন্দি নয়। তাদের হাতে অত্যাধুনিক মার্কিন অস্ত্র আছে। এটা ভারতের জন্য উদ্বেগের। আমরা এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছি। দেশের নিরাপত্তায় মোতায়েন বাকি সামরিক বাহিনীকেও এই বিষয়ে অবগত করেছি আমরা।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে ড্রোনে করে অস্ত্র, মাদক পাচার বা হামলা রুখতে বিএসএফের তত্পরতার কথাও জানান বিএসএফ প্রধান। তিনি বলেন, ‘ভারতের পশ্চিমে পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে ৬৭টি ড্রোন ধরা পড়েছে। প্রায় সময়ই এই ড্রোনগুলি সীমান্ত টপকে ভারতের মাটিতে ঢুকে পড়ছে। সেগুলি আকারে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই ছোট এবং অধিকাংশই চিনা। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই ড্রোনের মাধ্যমে দেশের অন্দরে মাদক পাচার করা হচ্ছে। সীমান্তে ড্রোনের গতিবিধি আটকাতে আমরা অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম ইনস্টল করেছি। আমরা আরও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করছি।’ তবে বিএসএফ প্রধানের যুক্তি, ভারত-পাক ২৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা জুড়ে ড্রোনের উপর নজরদারি কঠিন। এবং সীমান্তের সব স্থান দিয়ে ড্রোন প্রবেশ আটকানো বেশ খরচ সাপেক্ষ। এই কারণে বিকল্প পদ্ধতির কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.