পাক ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিল নয়াদিল্লি, রাষ্ট্রসংঘে ভারতকে সমর্থন আমেরিকা-সহ বাকি দেশগুলির

রাষ্ট্রসংঘের সামনে নিজেদের দেশের জঙ্গি কার্যকলাপ ধামাচাপা দিতে এক নয়া ফন্দি বের করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানে বসবাসকারী বেশ কিছু ভারতীয়কে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতকে দায়ী করতে চেয়েছিল তারা। রাষ্ট্রসংঘে এই বিষয়ে আবেদনও করে পাকিস্তান। সমর্থন জানায় চিন। কিন্তু আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ বাকি দেশগুলির ভারতকে সমর্থনের ফলে ভেস্তে গেল পাক ষড়যন্ত্র। এই ঘটনায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারত।

নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বিষয় তোলে পাকিস্তান। তারা অভিযোগ করে আফগানিস্তানে বেশ কিছু ভারতীয় জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। নামও জানায় ইসলামাবাদ। তাঁদের নাম হল রাঘবচারী পার্থসারথী, বি সুধাকর পেদিরেদলা, বেণুমাধব ডোংরা, অজয় মিস্ত্রি, আপ্পাজি আঙ্গারা ও গোবিন্দ পট্টনায়েক দুগিভালসা। পার্থসারথী ও সুধাকর আফগানিস্তানের মাজার-এ-শরিফ এলাকায় একটি দোকানে কাজ করতেন। বাকিরাও কাজের সূত্রেই আফগানিস্তানে ছিলেন। পাকিস্তানের এই অভিযোগের পরে সুধাকর বাদ দিয়ে বাকি পাঁচজনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ভারতে। সুধাকরের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান অভিযোগ করে, এই ছ’জন আফগানিস্তানে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। তাই এদেরও গ্লোবাল টেররিস্ট ঘোষণা করা হোক। নিরাপত্তা পরিষদের সামনে পাকিস্তানের চোখে অভিযুক্ত পাঁচ ব্যক্তিকে হাজির করে ভারত। তাঁরা তাঁদের বক্তব্য রাখেন। পাকিস্তানের প্রস্তাবে সম্মতি জানায় চিন। কিন্তু বাকিরা ভারতের দাবিকে সমর্থন জানায়। ফলে জয় হয় ভারতের।

এই ঘটনার পর ভারতের তরফে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ করা হয়, নিজেদের মুখ বাঁচাতে এই ষড়যন্ত্র করেছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিমের মতো জঙ্গি নেতাদের গ্লোবাল টেররিস্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। পাকিস্তানকে বারবার হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে, নিজেদের দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ মোকাবিলা করার জন্য। নিজেদের দেশের নাম রক্ষার জন্য দুটি পদ্ধতি নিয়েছে ইসলামাবাদ। এক, পাকিস্তানে থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগকেই এনকাউন্টার বা পাক সেনার হাতে মৃত দেখানো। দুই, রাষ্ট্রসংঘের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা করা যে ভারতও জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত।

নয়াদিল্লি সূত্রে খবর, ইসলামাবাদকে এই পদ্ধতি নিতে বলেছিল আইএসআই। আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের মধ্যে যাঁদের ‘র’-এর এজেন্ট বলে সন্দেহ করেছিল আইএসআই, তাঁদের নামই জঙ্গি হিসেবে নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বিশ্বের দরবারে ফের একবার মুখ পুড়ল ইমরান খান সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.