দেশে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হলে ২০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা হবে’। দিল্লির বুরারিতে আয়োজিত ‘হিন্দু মহাপঞ্চায়েতে’ এমনই মন্তব্য করেন যতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী। যা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওঁই সভাতেই হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির বুরারি গ্রাউন্ডে সেভ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রীত সিংয়ের উদ্যোগে হিন্দু মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখেন নরসিংহানন্দ। তিনি বলেন, ‘একবার যদি দেশে কোনও মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হয়, তাহলে দেশের ৫০ শতাংশ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা হবে। ৪০ শতাংশকে খুন করা হবে। বাকি ১০ শতাংশ হয় শরনার্থী শিবিরে থাকবেন অথবা পরবর্তী ২০ বছর অন্য দেশে থাকতে হবে। যদি এই ভবিষ্যতকে এড়াতে চান তবে অস্ত্র তুলে নিন।’
এদিকে সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানের অনুমতি ছিল না আয়োজকদের কাছে। তারাই হরিদ্বারে বিগতদিনে সভার আয়োজন করেছিল। হরিদ্বারের ঘটনার পরে বর্তমানে জামিনে রয়েছেন নরসিংহানন্দ। এদিকে এদিনের মহাপঞ্চায়েত কভার করতে গেলে দুজন মুসলিম সাংবাদিককে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। তবে পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
দিল্লি পুলিশ এই সভার আয়োজকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ (দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা) এবং ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের মারপিট করার অভিযোগে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।