সম্পাদকীয় : এক কঠিনতম লড়াই
এক অজানা, অচেনা ব্যধির বিরুদ্ধে সমগ্র মানব সমাজ আজ যুদ্ধে অবতীর্ণ হইয়াছে। এই শত্রুকে চাক্ষুষ করা যাইতেছে না। অথচ এই শত্রুর বিষাক্ত নিঃশ্বাস সর্বদাই অনুভব করা যাইতেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী এমন কঠিন সংকটের মুখে মানব সভ্যতা আর পড়ে নাই। তার চরিত্রটি যেহেতু অদৃশ্য, এবং কোন অস্ত্রে শেষ পর্যন্ত তাহাকে ঘায়েল করা যাইবে, তাহা এখনও সকলের অজানা, তাই যুদ্ধটি ক্রমশই কঠিন হইতে কঠিনতর হইয়া উঠিয়াছে। বিশ্বব্যাপী মৃত্যুমিছিল আমাদের সকলকেই এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখে দাঁড় করাইয়া দিয়াছে। এই মারণ জীবাণুটির আবিষ্কর্তা কমিউনিস্ট কার্যত সমগ্র মানব সভ্যতার বিরুদ্ধে এক যুদ্ধ ঘােষণা করিয়াছে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করিতে হইলে সমগ্র মানব সমাজকে প্রতিরােধ গড়িয়া তুলিতে হইবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী সমগ্র দেশবাসীর কাছে বারংবার সেই আহ্বানই জানাইতেছেন। তাঁহার আহ্বানে দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়াও দিয়াছে। তবুও এই সংকটের মুহূর্তেও দেশের ভিতরে একটি শ্রেণী দেশকে, দেশবাসীকে বিপর্যস্ত করিবার নিরন্তর প্রয়াস করিয়া যাইতেছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনে বা মুম্বাইয়ের বান্দ্রা রেল স্টেশনে লকডাউনকে কার্যত অমান্য করিয়া কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত এই নাশকতামূলক আচরণের প্রমাণ। ফলে ভারতকে শুধু করােনা নামক চীনা মারণাস্ত্রটির বিরুদ্ধে নহে, লড়িতে হইতেছে দেশের ভিতরে অবস্থানকারী এই নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধেও। তবে ভারত এই লড়াই দৃঢ়তার সঙ্গেই লড়িতেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বে ভারতের এই লড়াই সকলের সন্ত্রম আদায় করিয়াছে। করােনা যুদ্ধে ভারত বিশ্বকে পথ দেখাইবে। শত্রুকে পরাজিত করিয়া এক সুস্থ সুন্দর প্রভাত আনয়ন করিবে—ইহা নিশ্চিত।
কাশি থাকলে মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করুন – ডাঃ উচ্ছল কুমার ভদ্র
সরকারি নিয়মাবলী আত্মরক্ষার তাগিদেই মেনে চলতে হবে – ডাঃ শুভঙ্কর গৌড়া
শ্রীরামকথা শত শত বছর ধরে ভারতবর্ষের জাতীয় চেতনাকে উজ্জীবিত রেখেছে – অমিত ঘোষ দস্তিদার
করোনা মোকাবিলায় সেই ব্রিটিশ আইনই ভরসা – ধর্মানন্দ দেব
চার কার্যকর্তার আত্মবলিদানে রঞ্জিত কাঞ্চনছড়া রতনমণি শিশুশিক্ষা নিকেতন – লক্ষ্মণ দেব