আনলক ৫.০ : সোমবার থেকে কোন রাজ্যে কী কী খুলে যাচ্ছে

সোমবার থেকে একাধিক রাজ্যে খুলে যাচ্ছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। করোনা আবহের মধ্যেই স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে জনজীবন। তাই আনলক ৫.০তে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বেশ কয়েকটি রাজ্যে স্কুল, ধর্মস্থান ও রেস্তোঁরা খুলে দেওয়া হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইড লাইন মেনে সেই সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।

এক নজরে সেই সব কিছুর তালিকা।

মহারাষ্ট্র : রেস্তোঁরা, বার, ক্যাফে খুলে যাচ্ছে এই রাজ্যে। সাত মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে মারাঠা ভূমি। তবে এখনও দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ এই রাজ্যেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া গাইড লাইন মেনে খোলা হচ্ছে রেস্তোঁরা, বার ক্যাফে।

পুদুচেরি : এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সোমবার থেকে খুলছে স্কুল। তবে শুধুমাত্র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য। ত্রিপুরা : পাঁচই অক্টোবর থেকে ত্রিপুরাতেও স্কুল খুলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের।

বেঙ্গালুরু : সোমবার থেকে খুলে যাচ্ছে ইসকন মন্দির। নিয়ম মেনে প্রবেশ করতে হবে মন্দিরে। সকাল ৯.৩০টা থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত ও বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য এই মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে।

কলকাতা : সোমবার থেকে নিজেদের পরিষেবার মাত্রা বাড়াচ্ছে কলকাতা মেট্রো। মেট্রো কর্তৃপক্ষ মেট্রো রেলের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, দিল্লিতে করোনার অবস্থার এখনও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে অধিক সংখ্যায় লোক বাইরে বেরোলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। যার জেরে রাজধানীতে দিল্লি সরকার ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, দিল্লির সমস্ত স্কুল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারছেন।

এই সময়ে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া উচিৎ হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এর আগে, দিল্লি সরকার ৫ অক্টোবর অবধি স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

মনে করা হয়েছিল ৫ অক্টোবরের পরে স্কুল খুলবে, কিন্তু ক্রমবর্ধমান করোনার জেরে সরকার আবারও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল। দিল্লি ক্যান্টের সঙ্গে সম্পর্কিত বেসরকারী স্কুলগুলির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য থাকবে।

অন্যদিকে, ভ্যাক্সিন কবে আসবে তা নিয়ে উত্তর দিয়েছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষ বর্ধন। রবিবার দুপুর ১ টায় সানডে সংবাদ নামে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি ভারতবাসীকে ভ্যাক্সিন দেওয়ার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র কীভাবে দিন রাত কাজ করে চলেছে, সেকথা উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাক্সিন একবার প্রস্তুত হয়ে গেলেই বেশির ভাগ মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র। জুলাই মাসের মধ্যে অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিন কেন্দ্রের হাতে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বকে ভ্যাক্সিন দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.