পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ১৫ বছর আগেকার বিহারের মতো, যাওয়ার আগেও বলে গেলেন অজয় নায়েক

নির্বাচন কমিশনের নিযুক্ত বিশেষ ভোট পর্যবেক্ষক হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন অজয় ভি নায়েক । শুক্রবার তিনি রওনা হলেন কেরলের উদ্দেশে। যাওয়ার আগে ফের বলে গেলেন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এখন ১৫ বছর আগেকার বিহারের মতো। এর আগে সাংবাদিক বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বিহারের তুলনা করেছিলেন। এরাজ্য থেকে চলে যাওয়ার আগেও একই কথা বললেন।

এদিন অজয় ভি নায়েক বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোট তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে বারাকপুর অঞ্চলে শান্তিরক্ষাই ছিল সবচেয়ে কঠিন। তিনি স্বীকার করলেন, কোনওভাবেই সন্ত্রাসমুক্ত হতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৯ সালে এরাজ্যে লোকসভা নির্বাচনকে তাঁর জীবনের ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁর দাবি, বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে তিনি যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন, অতি কষ্টে তার জবাব দিতে পেরেছেন।

লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ঠিক দু’দিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অজয় নায়েক। ভোটে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এরাজ্যের অবস্থা এখন ১৫ বছর আগেকার বিহারের মতো। রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের ওপরে সাধারণ মানুষ আস্থা হারিয়েছে। সেজন্য দাবি উঠেছে, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

অবসরপ্রাপ্ত আইএস অফিসার অজয় নায়েক এই কথা বলার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভোট পর্যবেক্ষকের কাজ হল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু যাতে হয়, তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অজয় নায়েক যে মন্তব্য করেছেন, তাতে বাংলায় বিরোধী দলগুলির সুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, অজয় নায়েক আগে বিহারের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের পদে ছিলেন। বিহারের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর যথেষ্ট ধারণা আছে। সেজন্যই তাঁর কথায় চলে এসেছে বিহারের ভোটের প্রসঙ্গ।

সাংবাদিক বৈঠকে অজয় নায়েক জানিয়েছিলেন, তৃতীয় দফার ভোটে ৯২ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি আট শতাংশ বুথে থাকবে রাজ্যের পুলিশ। তবে সেই পুলিশ কর্মীরা হবেন সশস্ত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.