‘ঘুষখোর’ পুরপ্রশাসকের বিরুদ্ধে মাইকে প্রচার, দল থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেত্রী!

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। গারুলিয়া পুরপ্রশাসকের বিরুদ্ধে মুখ্ খোলায়  পুরসভার উপ প্রশাসক তথা তৃণমূল নেত্রী ঊষা চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

গত ১৬ অগষ্ট নতুন করে  বিভিন্ন  পৌরসভার প্রশাসনিক রদবদল হয়। গারুলিয়া পুরসভায় নতুন করে রদবদল হয়ে পুরপ্রশাসক সঞ্জয় সিং-কে সরিয়ে নতুন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয় রমেন দাসকে। উপপ্রশাসক নিযুক্ত হন ঊষা চৌধুরী ও  অশোক সিং। কিন্তু, পদপ্রাপ্তির পর থেকেই চরমে ওঠে অন্তর্দ্বন্দ্ব।

উপ পুরপ্রশাসক  ঊষা চৌধুরী অভিযোগ করেন মুখ্য প্রশাসক রমেন দাস নানা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। কাটমানি নেওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রমেনবাবু বলে অভিযোগ করেন ঊষাদেবী। শুধু তাই নয়, বোর্ড গঠনের পরেও  পুরসভার কোনও বোর্ড মিটিংয়েও ডাকা হয় না ঊষাদেবীকে।  তাঁকে আড়ালে রেখেই কার্যত পুরসভার সমস্ত কাজ চলে অভিযোগ করেন ঊষা। এরপর প্রকাশ্য রাস্তায়, মাইক লাগিয়ে পুরপ্রশাসকের দুর্নীতির অভিযোগল তুলে প্রচার করা শুরু করেন তিনি।

এদিকে, পুরপ্রশাসকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন অভিযোগ তোলায় বেশ অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, উপ পুরপ্রশাসকের এ হেন শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা কমিটির সকল সদস্যের মিলিত সিদ্ধান্তেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। অন্যদিকে পুরপ্রশাসক রমেন দাস জানিয়েছেন, তিনি গোটা ঘটনাটি উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। এরপর দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

পাল্টা, অভিযোগকারিণী ঊষা দেবী বলেন, “আমাকে এই পদে নিযুক্ত করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাই আমার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হলে তা কার্যকর হবে কি না তা ঠিক করবেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো।” পুরভোটের আগে এভাবে দলীয় কোন্দল যে তৃণমূলের জন্য বিপদে সিঁদুরে মেঘ হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।

তবে গারুলিয়া পুরসভা ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে পুরসভার পুরপ্রশাসক সুনীল সিং-য়ের দল বদলকে কেন্দ্র করে অনাস্থা পেশ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রকাশ্যে এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। ফের নতুন করে শিরোনামে এই পুরসভা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.