কেন্দ্রীয় বিজেপি থেকে সদস্যতার যে ‘টার্গেট’ রাজ্য বিজেপিকে দেওয়া হয়েছে তা ছোঁয়া গিয়েছে অনেক আগেই। এখন রাজ্য বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৮০ লক্ষেরও বেশি। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ১ কোটি সদস্য তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার দাবি, ৮০ লাখের মধ্যে ৪ লাখ সদস্য সংখ্যালঘু।
এই সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই আগামীদিনে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপর নজর দিতে চলেছে বিজেপি। মূল বক্তব্য, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।’ নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই রাজ্যের প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে পেতে চায় পার্টি। তবে, লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত সংখ্যালঘু ভোটের পরিমান বিজেপির জন্য খুব আশানুরূপ নয়।
উল্লেখযোগ্য, ২২ অগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু সদস্য প্রায় ২ লাখ হলেও, বর্তমানে তা প্রায় ৪ লাখ বলে দাবি করেছেন সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হাসান।
বিজেপির সদস্যতা অভিযান শেষ হয়েছে। দেখা গিয়েছে, সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গেই সব থেকে বেশি সদস্য করতে পেরেছে বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলা সদস্য সংখ্যায় সব থেকে প্রথম। অন্তত , ৫-৬ টি জেলা লক্ষ্য মাত্রার ৫০ শতাংশরও বেশি সদস্য করতে পেরেছে।
বর্তমানে বিজেপির সক্রিয় সদস্য বাড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে সদস্য বৃদ্ধির কাজ এখানেই থামাতে চায়না বিজেপি। কারণ সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যকে সদস্যতা অভিযান ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেরল, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা এবং বেশ কিছু রাজ্যে চলবে।
বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্যরা রাজ্যের মুসলমান জনজাতিকে এন আর সি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া, জম্মু ও কাশ্মীরের আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৫A নিয়ে মোদী সরকারের পদক্ষেপকে মুসলমান সমাজে ব্যাখ্যা করছে সংখ্যালঘু মোর্চা।
তিন তালাক বিষয়েও সংখ্যালঘু মোর্চা নরেন্দ্র মোদী সরকারের বক্তব্য বাংলার মুসলমান সমাজকে পৌঁছে দিতে চাইছে। তিন তালাকের অন্যতম পিটিশনার ইসরাত জাহান বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যা। তাকেও প্রচারে কাজে লাগানো হয়েছে।