গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) নামল তিন হাজারের নীচে। শুক্রবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২ হাজার ৭৮৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১১২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮৮ জন। কলকাতায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৭ জন। তবে সংক্রমণ কমলেও বেড়েছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গত একদিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ১১২ জন। সুস্থতার সংখ্যার থেকে সংক্রমিতের সংখ্যা বেশি থাকার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬১৮ জন যুক্ত হয়ে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৯১ জনে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ হাজার ৩৬৭টি। যার মধ্যে ২ হাজার ৭৮৮টি স্যাম্পেলই পজিটিভ হওয়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ৫.০৪ শতাংশ। আর রাজ্যে এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৭.৩ শতাংশ।
এদিকে, দেশেও প্রতিদিন কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৭৯৩ জন। ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৪৭। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৪৯০ জনের। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সুফল মিলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দ্রুত গতিতে টিকাকরণ চলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও পর্যন্ত দেশের ২৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৯৯ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
তবে ভারতের মতো সুবিশাল দেশে মারণ ভাইরাস করোনার কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে টিকাকরণে আরও বেশি জোর দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও বেশ কয়েকটি রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় টিকার (Vaccine) সরবরাহ কম বলে অভিযোগ উঠছে। উল্টোদিকে এই মুহূর্তে ভারতে তিনটি সংস্থার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার ভ্যাকসিনও ভারতে প্রয়োগ করা হবে।