শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বারুইপুরের এক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রবল উত্তেজনা ছড়াল। শিশু মৃত্যুর ঘটনা জানতে পেরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনার পর শুক্রবার সকালে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয় হাসপাতাল চত্বরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শানওয়াজ আনসারিকে সাইকেলে চাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন তাঁর মামা। শানওয়াজকে সাইকেলে বসিয়ে মোবাইলে রিচার্জ করাতে যান মামা। তখন আচমকাই শিশুটি ব্যালেন্স হারিয়ে সাইকেল থেকে পড়ে যায়। সেই সময় পিছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ছোট হাতি শিশুটির উপর থেকে চলে যায়। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন শানওয়াজ। গুরুতর আহত অবস্থায় চার বছরের শিশুকে নিয়ে আসা হয় হরিহরপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক দেখেই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিশুটির দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যেতে এলে পরিবারের লোকেরা বাধা দেয়। এরপর উত্তেজিত হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। চেয়ার, টেবিল ছুড়ে ফেলে ভাঙচুর চালানো হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক অরিজিৎ দাস জানান, ‘শিশুটির মৃত্যু হলে আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ শিশুটিকে নিয়ে যেতে এলে পরিবারের লোকেরা বাধা দেয় ও ভাঙচুর চালায়।’ তবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নার্স জানান, ‘শিশুটি মৃত অবস্থাতেই এসেছিল। প্রায় ১০০ জন লোক জড়ো হয়ে ভাঙচুর চালান। আচমকাই ভাঙচুর চালানোয় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা।’