রাজ্য সরকার কেন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখছে না? এবার জ্বালানি-জ্বালা বিধানসভাতেও।

 রাজ্য সরকার কেন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রুখছে না? দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন বারবার উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নে আগামী সোমবার বিধানসভা চত্ত্বরে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা বিজেপি পরিষদীয় দলের। বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে হবে তা।

পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভা অন্দরে এই প্রথম সরব হতে চলেছে বিজেপি। সেখানে থাকার কথা উপস্থিত থাকার কথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আগামী সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে বিধানসভায় শোক প্রস্তাব আসার কথা। ফলে তারপরে অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, শোকপ্রস্তাবে কলকাতা ও লাগোয়া জেলার বিধায়করা, উপস্থিত থাকবেন।

বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, বিধানসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে অংশগগ্ৰহণ করার কথা দলীয় বিধায়কদের। আর মুলতুবি না-হলে অধিবেশন কক্ষেই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা নিয়ে সর্ব হবেন পদ্ম শিবিরের বিধায়করা।

প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস করেছে কেন্দ্র। ডিজেলের ওপর আফগারি শুক্ল হ্রাস পেট্রোলের তুলনায় দ্বিগুণ হবে। পেট্রোল ও ডিজেলের টানা মূল্যবৃদ্ধিতে মুদ্রাস্ফীতিতেও প্রভাব পড়েছে। তার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এতদিন সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার পাল্টা প্রতিবাদের পথে হাঁটছে বিজেপিও।

এরপর বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। দিলীপ লিখলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল, ডিজেলের এক্সাইজ় ডিউটি কমানোর ফলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম কমল ৫ টাকা এবং লিটার প্রতি ডিজেলের দাম কমল ১০ টাকা। এবার নিজেদের জনদরদী বলে দাবি করা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের স্বার্থে ভ্যাট কম করা।”

আজ, শুক্রবারই নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “পেট্রোল -ডিজেল নিয়ে এবার আমাদের আন্দোলন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার যে রাস্তা দেখিয়েছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য রাজ্য সরকারের তা সহযোগিতা করা উচিত। তাদের তরফে কিছুটা ত্যাগ করা উচিত। ওরা সব দিক থেকে লাভ নেবে, এদিকে কেন্দ্রের সমালোচনা করবে! মানুষের কষ্টের কোন ভাগ নেবে না তা হয় না, দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে রাজ্য সরকারকেও।” এবার জ্বালানি জ্বালা পৌঁছতে চলেছে বিধানসভা অন্দরেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.