কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, তুফানগঞ্জে ভোটকর্মীদের বার করে দিয়ে বুথে তালা দিলেন গ্রামবাসীরা

গত কয়েক দিনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ভোটকর্মীরা। দাবি একটাই। কেন্দ্রীয়বাহিনী চাইই চাই। কিন্তু নির্বচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। আর এতেই ঘটল বিপত্তি। সেন্ট্রাল ফোর্সের দেখা না পেয়ে ভোটের আগের রাতে ইভিএম সহ ভোটকর্মীদের বুথ থেকে বের করে তালা লাগিয়ে দিল গ্রামবাসীরা।

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তুফানগঞ্জ মহকুমার ধলপল এক নম্বর ব্লকে। ভোটকর্মীরা বুথে পৌঁছনোর পর স্থানীয়রা দেখেন কোনও কেন্দ্রীয়বাহিনী নেই। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ, সেক্টর অফিসারও আসেননি। জনতার রোষ ভোটকর্মীদের কার্যত রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দেয়।

লোকসভা ভোটে যাতে পঞ্চায়েতের বিভৎসতা ফিরে না আসে, তা নিয়ে বিরোধীরা বহুদিন থেকেই সরব। বিজেপি সহ বাম, কংগ্রেস সব দলেরই দাবি, কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। কমিশনও শুরুর দিন থেকেই অবাধ ভোট করাতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল করে ফেলেছে। কিন্তু তবুও সব বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী দেওয়া যাচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার লোকসভারও প্রায় ১২০০ বুথে সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে না বলে জানা গিয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, স্থানীয়রা আসলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কারণ তাঁদের স্মৃতিতে এখনও পঞ্চায়েতের ক্ষত টাটকা। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের আরও বক্তব্য, মানুষের এই মেজাজ গত কয়েকটা ভোটে দেখা যায়নি। মানুষও চাইছেন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট। যাতে তাঁরা নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারেন। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ওই বুথে যাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে এনে সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ভোট শুরু করা যায়, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.