রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিআইডি। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন চত্বরে যেখানে মন্ত্রীর ওপরে বোমা ছোড়া হয়, সেখানে গিয়ে বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখছেন সিআইডির অফিসাররা। কলকাতা থেকে গেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলও। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন তাঁরা। এদিকে গতকাল রাতেই, বোমা হামলায় আহত মন্ত্রীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর হাতে ও পায়ে একাধিক ক্ষত রয়েছে। বাঁ পায়ের গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত বোমার স্প্লিন্টার ঢুকে রয়েছে।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় আসছিলেন জাকির। নিমতিতা স্টেশন থেকে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সেই সময় স্টেশন চত্বরে আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। জানা গেছে, মন্ত্রীর ঠিক সামনেই বোমা ফাটে। জখম হন জাকির ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ এসএসকেএম হাসপাতালে মন্ত্রীর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জাকিরের হাতে ও পায়ে বোমার আঘাতের ক্ষত রয়েছে। গোড়ালির হাড় ভেঙেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বোমার আঘাতে হাতের আঙুলেও মারাত্মক চোট রয়েছে। একটি আঙুলের প্রায় অর্ধেকটা উড়ে গেছে। পায়ে বোমার স্প্লিন্টারও বিঁধে রয়েছে। অস্ত্রোপচার করে সেগুলি বের করা হবে। অর্থোপেডিক সার্জন, কার্ডিওলজিস্ট, প্লাস্টিক সার্জনদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছে।
ওদিকে, বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। গতকাল রাতে কীভাবে স্টেশন চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন অফিসাররা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জঙ্গিপুর পুলিশও। স্টেশনে বিস্ফোরক কোথা থেকে এল, ব্যাগে করে বোমা রাখা হয়েছিল কিনা তার পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারণ সেদিন স্টেশনে মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা একজন স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশকে বলেছেন, স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ব্যাগ রাখা ছিল। সেই ব্যাগ সরাতে গিয়েই নাকি বিস্ফোরণ হয়। সেই জায়গায় বিস্ফোরণের অসংখ্য চিহ্ন ছড়িয়ে আছে। সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন তদন্তকারীরা। বোমা রাখা ছিল নাকি বোমা ছোড়া হয়েছিল সেটাও জানার চেষ্টা করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। কী ধরনের বোমা ছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে।