করোনা সংক্রমণের ফলে ২০২০ সালের হজ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে তা ফের শুরু হচ্ছে। তবে ২০২১ সালের হজ যাত্রার ক্ষেত্রে একাধিক নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে, এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সৌদি আরব সরকার যে স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে যেতে হবে। শনিবার এই স্বাস্থ্যবিধির কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। তাতে কোভিড পরীক্ষা থেকে হজ যাত্রীদের বয়স বেঁধে দেওয়া প্রভৃতি একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এই হজ যাত্রার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট বয়সের সীমা বেঁধে দেওয়া হতে পারে। কারণ, বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের প্রভাব অনেক বেশি হয়। তাই একটা নির্দিষ্ট বয়স বেঁধে দেওয়া হবে বলেই খবর। যদিও ঠিক কোন বয়সের যাত্রীরা হজে যেতে পারবেন সে ব্যাপারে এখনও কিছু নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। সৌদি আরব সরকার থেকে নির্দেশিকা এলে তারপরেই তা জানানো হবে বলে খবর।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়েছেন, শনিবার থেকেই হজে যাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, “অনলাইন, অফলাইন কিংবা হজ মোবাইল অ্যাপলিকেশনে, যে কোনও পদ্ধতিতে আবেদন করা যেতে পারে। করোনা সংক্রমণের কারণে প্রত্যেক হজ যাত্রীকে আরটি-পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে হওয়া নিজেদের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সৌদি আরবের বিমান ধরার ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ তিনদিন আগে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।”
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে যে মহিলারা একা একা হজে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁদের আবেদন এই বছরের জন্যও গ্রাহ্য। তবে হজের জন্য বিমান ছাড়ার জায়গা ২১ থেকে কমে ১০টি হয়েছে। সেগুলি হল আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, কোচিন, দিল্লি, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ, মুম্বই ও শ্রীনগর।
২০২১ সালে হজ যাত্রীদের ক্ষেত্রে কী কী নির্দেশিকা জারি করা হবে তা বিদেশমন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, হজ কমিটি ও সৌদি আরবে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের মধ্যে বেশ কয়েক বার আলোচনার পরে ঠিক করা হয়েছে। তারপরেই তা সবাইকে জানানো হয়েছে।