বাংলায় গেরুয়া ব্রিগেডের ভোট পরিচালনার জন্য ম্যানেজমেন্ট টিম ঘোষণা হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। কারা ইস্তেহার বানাবেন, কারা মিছিল-মিটিং দেখবেন, কারাই বা মতুয়া কিংবা এনআরআই ভোটারদের দেখবেন তার নির্দিষ্ট দায়িত্ববণ্টন করে দেওয়া হল।
ঘটনা চক্রে দেখা যাচ্ছে, এই যে তালিকা বিজেপি দিয়েছে তাতে বাইরের রাজ্যের কেউ নেই। অর্থাত্ শাসকদল যে ভাবে বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল তাতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট টিমে বাইরের রাজ্যের নেতারা থাকছেন না।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই বলেছিলেন, যে সর্বভারতীয় নেতারা এসেছেন তাঁরা সংগঠনের বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। বাংলায় ভোট বাংলার বিজেপিই লড়ে নেবে। স্থানীয় বিষয়আশয় স্থানীয় নেতারাই জানেন। রাজ্য বিজেপি নেতারা এও বলছেন, সর্বভারতীয় নেতারা পর্যবেক্ষক হিসাবে বাংলায় আসা নতুন সংস্কৃতি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত। তিনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন, তখনও কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা বাংলায় পর্যবেক্ষক হিসাবে আসতেন। শুধু তাও নয়, তৃণমূলনেত্রী যখন দলের বিভিন্ন নেতাকে অসম, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁরাও তো তা হলে সেই রাজ্যে বহিরাগত ছিলেন। সে সময়েও ভাবা উচিত ছিল না কি!
এদিন যে কমিটি ঘোষণা হয়েছে তাতে ইস্তেহার কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরার মতো নাম। এনআরআই ভোটারদের সঙ্গে সমন্বয় করবেন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। উদ্বাস্তু, মতুয়াদের ভোট ম্যানেজমেন্টে থাকবেন শান্তনু ঠাকুর, দেবজিত্ সরকার, জগন্নাথ সরকাররা। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করবে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন একটি টিম।
ইস্তেহার লেখার টিমে সুভাষ সরকার, রন্তিদেব সেনগুপ্তরাও রয়েছেন। পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে কারা যোগায় করবেন, সোশ্যাল মিডিয়া, বুথ ম্যানেজমেন্ট, আইনি ব্যাপারস্যাপার কারা দেখবেন তাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ডিফেন্স, মাঝমাঠ, স্ট্রাইকিং লাইন– সব সেট করেই যে বঙ্গ বিজয়ের লক্ষ্যে নামতে বিজেপি তা স্পষ্ট।