করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতেই হবে, মাস্ক নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক হতে বললেন প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজনে মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোনের পরামর্শ

দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর নতুন করে কিছু রাজ্যে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, আমাদের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতেই হবে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যেন ক্ষতি ডেকে না আনে। এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ য়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত জয় পেয়েছে, তবে ভাইরাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ভারতে ৯৬ শতাংশের বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমিত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারত সেইসব দেশের মধ্যে রয়েছে যাদের মৃত্যুর হার সর্বনিম্ন।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ গত কয়েক মাসে কিছুটা কমতেই আবার মাস্ক না পরা, সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং বিধির তোয়াক্কা না করার প্রবণতা বাড়ছে। সেদিকে ইঙ্গিত করেই প্রধানমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে ফের সংক্রমণ বাড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় করোনা সংক্রমণ ১৫০ শতাংশ বেড়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোদী। সেইসঙ্গে বলেন, ঢিলেমি নয়, মাস্ক নিয়ে প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে। পদক্ষেপ না করলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। সংক্রমিতদের দ্রুত খুঁজে বের করার কথা বলেন তিনি। প্রয়োজনে জায়গায় জায়গায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন করার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। সব রাজ্যে আরটিপিসিআর টেস্ট জরুরি বলেও অভিমত জানান তিনি। বলেন, করোনা ভাইরাস যাতে গ্রাম-গ্রামাঞ্চলে না ছড়ায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তেমন হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। ছোট শহরগুলিতে পরীক্ষা, টেস্ট বাড়াতে হবে। টায়ার ২, টায়ার-৩ শহরগুলিতে টেস্টিং বাড়বে। আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে রেফারেল সিস্টেম ও অ্যাম্বুলেন্স নেটওয়ার্কে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই যদি এই অতিমারী থামানো না যায়, তবে দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমাদের এখনই নতুন করে বাড়তে থাকা দ্বিতীয় ঢেউ থামাতে নির্ধারক পদক্ষেপ করতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে পরিণত হলে চলবে না। আমাদের সাফল্য যেন অসাবধানতার না কারণ হয়।

গত কয়েকদিনে যে জেলাগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে, সেগুলির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাও মাথায় রাখা উচিত যে, এইসব জোনে টেস্টিং ও ভ্যাকসিনের টিকাদান তুলনামূলক ভাবে কম হয়েছে। কেরল, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, টেস্টের ৭০ শতাংশের ওপর যেন অবশ্য আরটিসিপিআর টেস্ট হয়। রাজ্যগুলি যেন Rapid অ্যান্টিজেন টেস্টের ওপর শুধু ভরসা না করে।

কিছু রাজ্যে ভ্যাকসিনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েও ক্ষোভ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটা হওয়া উচিত নয়, এদিকে জরুরি ভিত্তিতে নজর দেওয়া দরকার।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে হাজির হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.