দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা। চিকিত্সকের সেদিকে অবশ্য কোনও হুঁশ নেই। তিনি ব্য়স্ত গল্প করতে। মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভদের দাপাদাপিতে অতিষ্ঠ জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগীরা। দীর্ঘসময়ে লাইনে দাঁড়িয়েও দেখা মিলছে না চিকিত্সকদের বলে অভিযোগ। প্রশ্ন করতেই জখম হন সাংবাদিক।
হাসপাতালের আউটডোরে চিকিত্সা করাতে আসা এক রোগীর কথায়, “সকাল থেকে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। লাইনই আর এগোয় না। ডাক্তারবাবুর আর সময় হয় না। এভাবে কী করে চিকিত্সা করাব।” অধিকাংশ রোগীরই প্রায় একই অভিযোগ। ঠিক কী ঘটছে হাসপাতাল চত্বরে? অভিযোগ, প্রায়ই হাসপাতাল চত্বরে এসে ভিড় করেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভরা। তাঁরা এলেই গল্পে জড়িয়ে পড়েন চিকিত্সকেরা। এদিকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মেলে না চিকিত্সা পরিষেবা।
শনিবার এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত তেড়ে আসেন হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতির উপক্রম হয় বলে অভিযোগ। এক সাংবাদিকের ডান হাত মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালে মেডিক্য়াল রিপ্রেজেনটেটিভদের যেখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে কী করে এভাবে তাঁদের ডেকে এনে চিকিত্সক গল্প করতে পারেন? পাশাপাশি চিকিত্সা না করে ফেলে রাখতে পারেন? যদিও এ বিষয়ে এখনও নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
যদিও, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের স্কিন স্পেশালিষ্ট চিকিত্সক শুভম চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার কাছে রিপ্রেজেনটেটিভরা এসেছিল। ওরা মাঝেমাঝে আসে। তবে আমি যেতে বলে দিয়েছি। আমার ডিপার্টমেন্টে কোনও লাইন পড়েনি।” ঘটনায় হাসপাতাল সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি, গোটা ঘটনার তদন্ত করতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছে।