উনি গীতিকার, সূরকার, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, লেখিকা, ছবি আঁকেন, গল্প বলেন আবার গান ও গাইতে পারেন ভালো। এটা আমরা না বললেও, উনি হলফ করে বলেন। তবে উনি আরও একটা কাজ খুব ভালো মতে পারেন, সেটা হল মানুষ হাসাতে।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যি উনি সেটা ভালই পারেন। হয়ত অনিচ্ছাকৃত ভাবে, কিন্তু পারেন তো। আসলে উনি মাঝে মাঝে এমন এমন কথা বলে বসেন যে, গোটা রাজ্যে ওনাকে নিয়ে খিল্লি হয়। যেমন উনি একবার বলেছিলেন ১৫০০ কেজির বাচ্চা।
যদিও এটা ওনার প্রথম অথবা শেষ অনিচ্ছাকৃত ভুল না। এর আগে আর পরেও উনি এরকম গাদা গাদা ভুল বলেছিলেন। যেমন ভগবান বিষ্ণুদেব কে উনি বিষ্ণু মাতা বানিয়ে দিয়েছিলেন। জৈন ধর্মকে যৌন ধর্ম। এরকম আরও অনেক আছে।
এমনকি উনি উড়িষ্যাকে দেশ হিসেবে গণ্য করেছিলেন একবার। আবার কদিন আগেই উনি পৃথিবীতে ১১৪০ টি দেশের আবিস্কার করে বসেছিলেন। তবে এগুলো সবই অনিচ্ছাকৃত ভুল ওনার, সবই মুখ ফসকে বলেছেন। কিন্তু পরে শুধরে নেননি।
আজ জলপাইগুড়িতে উদ্বোধন হওয়া সার্কিট বেঞ্চকে আবার উদ্বোধন করে উনি আবার সবার সামনে হাসির পাত্রি হয়ে উঠলেন। উনি আজ সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করতে দিয়ে বলেন, ‘১৯১২ সালে উনি সার্কিট বেঞ্চের শিলন্যাস করে দিয়েছিলেন।” যদিও উইকিপিডিয়া অনুযায়ী ১৯৫৫ সালে ওনার জন্ম হয়! আর ওনার কথা মত উনি ওনার জন্মের ৪৪ বছর আগে, ব্রিটিশ শাসন কালে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন করেছিলেন।
১৯১১ সালে উদ্বোধন করার কথাটি উনি দুবার রিপিট করেন। কিন্তু নিজের ভুল শুধরে নেননি। এটা মানতে হবে, অনেকেই অনেক সময় ভুল বলে ফেলেন। ভুল মানুষ মাত্রেই করে। তবে ভুলটা শুধরে নেওয়া টাও জরুরি। আর বারবার এরকম বড়সড় ভুল করে নিজেকে হাসির পাত্র না বানানোটাও দরকার। আর উনি আজ এই অনিচ্ছাকৃত ভুল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল তো হলেনই, আবার এই ভুলের জন্য ১০০ বছর পিছিয়ে গেলো পশ্চিমবঙ্গ।