দার্জিলিং এর চৌরাস্তা থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথে পৌঁছানো যায় মহাকাল মন্দিরে যেখানে আরাধ্য দেবতা ভগবান শিব। শহরের সবচেয়ে উুঁচু জায়গাটিকে অনেকে ‘পবিত্র পাহাড়’ বলে। মন্দির টির গর্ভে শিবের পাশাপাশি বুদ্ধ মূর্তির অবস্থানই মন্দিরের এক বিশেষ বৈশিষ্ঠকে তুলে ধরেছে।
মন্দিরটি হিন্দু স্থাপত্য রীতি অনুসরণে তৈরি হয়েছে। মূল মন্দিরের সামনে প্রবেশ দ্বারের কাছেই রয়েছে শিবের বাহন নন্দীর মূর্তি।এছাড়া মূল মহাকাল মন্দির কে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে ছোটো ছোটো কালী,দূর্গা,গণেশ ও হনুমান মন্দির। হিন্দু ও বৌদ্ধদের আরাধণার প্রতিক হিসবে আছে যথাক্রমে সারিবদ্ধ ঘন্টা ও প্রেয়ার ফ্ল্যাগ।
এই অঞ্চলের হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অধিবাসিদের মতো মহাকাল মন্দিরের মধ্যে শিবলিঙ্গ ও বুদ্ধ মূর্তি এখানকার দুটি পৃথক ধর্মের অনন্য সহাবস্থানকে প্রকাশ করছে।
শোনা যায় ঐ জায়গাটি কোনো এক সময় সিকিমের রাজারদের অধীনে থাকার সময় সেখানে বৌদ্ধদের মনাসটারী বা আশ্রম ছিল। এমনও প্রচলিত আছে যে দার্জিলিং এর জনপদ এখান থেকেই শুরু হয়ে ধীরে ধীরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বৌদ্ধ সন্যাসীরা এই জায়গার নাম করন করেছেন ‘দোর্জে’ ও ‘লিং’ দুটি শব্দ থেকে যার অর্থ বজ্রের দেশ।
গোলাকার মন্দিরের মাঝখানে শিবলিঙ্গ ও বুদ্ধ মূর্তির সাথে হিন্দুদের ব্রাহ্মন পুরোহিত ও বৌদ্ধদের সন্যাসীকে একসাথে নিজ নিজ আরাধ্য ভগবানের অর্চনা করতে দেখা যায়।শিবরাত্রি এখানে মহ ধুমধাম করে পালন করা হলেও বৈশাখী পূর্ণিমায় বুদ্ধ জয়ন্তী কিংবা বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পূজা এছাড়া গণেশ পূজার সঙ্গে হনুমান পূজাও সমারোহে উদযাপন করতে সব ধর্মের মানুষ এগিযে আসে।