দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রথম পর্যায়ে আঠারো হাজার জনকে দেওয়া হবে করোনার ভ্যাকসিন। আগামী শনিবার জেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে হবে ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া(ড্রাই-রান)। ভ্যাক্সিন সংরক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বালুরঘাটে জেলা স্বাস্থ্য ভবনে অবস্থিত ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোরেই কোভিড ভ্যাকসিন ওয়াক-ইন-কুলার নামক ইউনিটে মজুদ করা হবে। ডিস্ট্রিক্ট স্টোর সেন্টার থেকেই জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল যেখান থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। সেখানে সরবরাহ করে দেওয়া হবে। এব্যাপারে বুধবার জেলা শাসকের নেতৃত্বে ডিস্ট্রিক্ট স্টোর সেন্টার পরিদর্শন ও পরিকাঠামো গত যাবতীয় দিক গুলি খতিয়ে দেখলেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে সহ অন্যান্যরা।
এবিষয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই মিটিং এর নির্দেশ অনুযায়ী আজকে কবিতা টাস্কফোর্সের তরফে বালুরঘাটে জেলা ভ্যাকসিন স্টোর পরিদর্শন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো কোভিড ভ্যাকসিন কোথায় কিভাবে রাখা হবে। পরিকাঠামোগত সেইদিনগুলি এদিন খতিয়ে দেখা হয়েছে বলেও জেলাশাসক জানিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুকুমার দে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে কাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার তালিকা ইতিমধ্যেই কোভিড পোর্টালে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ১২ টি সেন্টার থেকে প্রথম পর্যায়ের কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলায় ভ্যাকসিন গুলি এনে প্রথমে বালুরঘাটে জেলাস্বাস্থ্য ভবনের ভ্যাকসিন স্টোরে মজুদ করা হবে।
ভ্যাকসিন মজুদের জন্য মাইনাস ২২৮ ডিগ্রী তাপমাত্রার ওয়াক ইন কুলার তৈরীর কাজ চলছে। মোট পাঁচশো জন ওয়ার্কার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ করবেন। ইতিমধ্যেই তাদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী শুক্রবার বালুরঘাট গঙ্গারামপুর হিলি হাসপাতালে ড্রাই রান হবে। ড্রাই রানের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়ার মহড়া অনুষ্ঠান হবে বলেও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন।