বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন সরকারি প্যানেলের আইনজীবীরা।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি নারায়ণ রাধাকৃষ্ণনকে চিঠি লিখে সরকারি প্যানেলে আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের কোর্টে কোনও মামলায় যাবেন না। এ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়ে তৈরি হয় জট। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, সরকারি আইনজীবীরা আদালতকে ভয় দেখাতে চাইছেন। সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চাইছেন। তিনি আরও বলেন, “কোনও মক্কেলের আইনজীবী হলে এক কথা কিন্তু সরকার তো একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটা তাঁরা করতে পারেন না।” গতকাল বিকেলে বিকাশ ভট্টাচার্য, অরুণাভ ঘোষ-সহ ১৫২ জন আইনজীবী পাল্টা চিঠি লেখেন প্রধান বিচারপতিকে। সেই চিঠিতে তাঁরা বলেন সরকারি আইনজীবীরা এটা করতে পারেন না।
বনগাঁ মামলার শুনানিতে বিচারপতি নিজেও সরকারি আইনজীবীদের উদ্দেশে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি বলেন, সরকারি আইনজীবীরা কী করলেন তাতে তাঁর কিছু এসে যায় না। তাঁর কথায়, “আমি চেয়ারকে সম্মান করেছি। হাইকোর্ট যে দায়িত্ব দিয়েছিল, পালন করার চেষ্টা আপনাদের অনৈতিক কাজকর্ম বরদাস্ত করব না। কোন মামলা শুনব, তা প্রধান বিচারপতি ঠিক করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির পদকে সম্মান করুন। আমি যদি ঠিক ভুল না বিচার করে সরকারের হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলাই, সেটা আমার চেয়ারের প্রতি অবিচার হবে।”
বিধাননগর মামলার শুনানিতে গত সপ্তাহেই আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল বিচারপতির। ভরা এজলাসে ওই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান অনেকেই। তারপর ক্ষমাও চান কল্যাণবাবু। তারপর সরকারি আইনজীবীদের কোর্ট বয়কট তাতে আরও উত্তাপ বাড়ায়। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পিছু হঠলেন তাঁরা। প্রত্যাহার করে নিলেন সিদ্ধান্ত।