অমিত শাহের সফরে থাকবে ব্যাপক চমক প্রতিদিনের মতো আজও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিত থাকার হুইপ জারি প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখতে চাইছেন ওনার দলে কে আছে, আর কে নেই। তবে তিনি এই পরীক্ষায় সফল হবেন না বলে জানালেন বিজেপির নেতা।
বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিন পার্শ্বশিক্ষকদের বিধানসভা ঘিরে তুলকালামের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। সবাই হতাশ হয়ে গিয়েছে। আর সেই কারণেই রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ মানুষ। আমরা ক্ষমতায় এসে সবার প্রতি সুবিচার করব।”
তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসে আমরা সপ্তম পে কমিশন চালু করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যে সপ্তম পে কমিশন চালু করার ঘোষণা করেছে, কিন্তু চালু হল কোথায়? উনি কেন্দ্রের সব কাজ আর প্রকল্পের বিরোধিতা করে চলেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের মানুষকে ডোবাচ্ছেন। এবার উনি নিজেই ডুববেন।”
প্রসঙ্গত, দুদিনের সফরে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি গতকাল মায়াপুর দর্শন করে বনগাঁর ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। এরপর ৩১ জানুয়ারি হাওড়ায় একটি জনসভা করবেন তিনি। সেই জনসভায় তৃণমূলের অনেক বিদ্রোহী নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদরা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
ইতিমধ্যে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও সদ্য মন্ত্রীত্ব ছাড়া লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে সুত্রের খবর। এছাড়াও কোন্নগরের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের নামও উঠে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ৩১ তারিখই জানা যাবে, তৃণমূলে কে আছে আর কে নেই।