বাংলার সিনেমা জগতে প্রভাব বিস্তারের জন্য বিজেপি অনেক আগেই চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিল। এক সময় বাংলা সিনেমায় পরিচিত মুখ জর্জ বেকার কিংবা নিমু ভৌমিকরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। বাংলার মাটিতে বিজেপি এখন তৃণমূল কংগ্রসের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।

শেষ লোকসভা নির্বাচনের পর বিষয়টি আরও প্রকট হয়েছে। ১৮ টি আসন পেয়ে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে বিজেপি। তাই এবার টলি-পাড়ায় তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত সংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব করতে পথে নেমেছে বিজেপি প্রভাবিত ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স এন্ড কালচারাল কনফেডারেশন। এই সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন চেয়ারপারসন বাবান ঘোষ, ভাইস চেয়ারপারসন সংহমিত্রা চৌধুরী। ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল, চলচিত্র অভিনেতা জর্জ বেকার এই সংগঠনের সঙ্গে রয়েছেন।

মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের মান্যতা নিয়ে অন্য একটি সংগঠন ইতিমধ্যেই টলি পাড়ায় পা জমিয়েছে। বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং চলচ্চিত্র পরিচালক মিলন ভৌমিক ওই সংগঠনের সঙ্গে রয়েছেন। দুটি সংগঠনের উদ্দেশ্যই প্রায় এক, টলি পাড়ায় শাসক দলের এক মন্ত্রীর একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা।

বাবান ঘোষের বক্তব্য, শিল্পী কলাকুশলীদের দুর্ঘটনাজনিত বিমার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া টলি-পাড়ায় দেখা গিয়েছে, অনেক শিল্পীরাই বকেয়া টাকা পাননি। বকেয়া আদায়ে এই সংগঠন আন্দোলন শুরু করবে। নন্দন শাসকদল ঘনিষ্ট পরিচালক প্রযোজকদের সিনেমাই সুবহু দেখানো হবে , অন্যরা বঞ্চিত হবেন, এমন ব্যবস্থার বিরুধ্যেও আন্দোলন শুরু হবে।

অগ্নিমিত্রা পাল জানান, খুব তাড়াতাড়ি একটি মোবাইল এপ্লিকেশন চালু করা হবে। সেখানেই টলি পাড়ার ভুক্তভোগীতা নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। অভিনেতা জর্জ বেকার বলেন , টলিউডে কোনো সিন্ডিকেট থাকা উচিত নয়। কোনও কাজ পেতে কোনও সংগঠনের সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তিনি উদাহরণ দেন, ডাক্তাররা ইচ্ছুক হলে তবেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসসিআশনের সদস্য হন। না হলে ডাক্তারি করতে পারবেন না, এমন নয়। টলিউডের কোনো ফেডারেশনই শিল্পীদের যোগ্যতা মাপতে পারেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.