বিজেপির মাইক প্রচারে তৃণমূল কর্মীদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পটাশপুর সরিদাসপুর গ্রাম। দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি। পরে এগরা বাজকুল বাস রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও অবরোধ তুলতে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। এই ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকা থমথমে। এই ঘটনায় পাঁচজনকে বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আগামীকাল ৯ জুলাই অমর্ষি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ রয়েছে বিজেপির। আজ সকালে পটাশপুর থানার সরিদাপুর অঞ্চলে আগামীকালের ডেপুটেশন কর্মসূচির মাইক প্রচারে বের করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিযোগে জানান, এই মাইক প্রচারের সময় তৃণমূল সমর্থকরা বাধা দেয়।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি তাপস মাঝির নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা তাদের এই প্রচারে বাধা দেয়। এই প্রচারে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয়। পরে খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ এলাকায় এলে বিজেপি কর্মীরা দোষী তৃণমূলের কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশ এই কথায় কান না দেওয়ায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বাজকুল এগরা বাস রাস্তা অবরোধ শুরু করেন।
পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গন্ডগোল বাধে। পুলিশের গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়। বাস রাস্তায় থাকা বাসেও ভাঙ্গচুর চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ বিজেপি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এতে কয়েকজন বিজেপি কর্মী এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি তপন মাঝি অবশ্য বিজেপির অভিযোগ একবারে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, বিজেপি কর্মীরা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের পার্টি অফিস এর উপর হামলা চালিয়েছে এবং পার্টির ভাঙচুর করেছে। তাদের ওপর চড়াও হয়েছে। বিজেপির প্রচারে কোনরকম বাধা দেওয়া হয়নি।
সব মিলিয়ে পটাশপুর এর অবস্থা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের গাড়ি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জন বিজেপি কর্মীদেরকে এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হলেও এলাকা থমথমে।