সোনা সহ অভিষেক জায়ার কাস্টমসের হাতে আটকের খবরের সতত্যা নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে তৃণমূলের বলা অপপ্রচারের তত্বকে উড়িয়ে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সিসিটিভির ফুটেজে সবটাই পাওয়া গেছে। কাস্টমস কর্তাদের সঙ্গে পুলিশ ও তৃণমূলের কয়েকজন নেতার ভূমিকা ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে বলে দাবি করেন আসানসোলের সাংসদ। এব্যাপারে তার সঙ্গে দিল্লির বিভাগীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে বুধবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বাবুল সুপ্রিয় জানান সবটাই তদন্ত হবে। তদন্তে অনেক কিছুই উঠে আসবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমি সংবাদ মাধ্যমে খবরটা প্রথম দেখেছি। সবকিছু সঠিক ভাবে জানার পরেই অভিষেক জায়াকে নিয়ে মন্তব্য করছি। তবে তদন্তের আগে তৃণমূলের মতো সবটা সাংবাদিকদের বলতে চাইনা। তবে এতটুকু আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে বলছি বিজেপির আমলে সবটাই বের হবে।

প্রসঙ্গত, অভিষেক ব্যানার্জির স্ত্রীকে দমদম বিমানবন্দরে সোনা সমেত আটক করা হয়েছে বলে বাবুল সুপ্রিয় ট্যুইট করেন। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয় বিজেপি কুৎসা রটাচ্ছে। এই খবরের কোন ভিত্তি নেই। তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়, কোনও জায়গায় লেখা হয়েছে ধৃত মহিলা দু’কেজি সোনা নিয়ে আসছিলেন ব্যাংকক থেকে। কোনও ক্ষেত্রে আবার লেখা হয়েছে সোনার গহনার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা নিয়ে এসেছিলেন ওই মহিলা। যা আইন বিরুদ্ধ। এছাড়া বিমানবন্দরে কাস্টম অফিসারদের সঙ্গে ওই মহিলার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, সঙ্গে তাঁর প্রভাবশালী স্বামী সহ একাধিক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে আটক ওই মহিলার মোবাইলে কথোপকথনের কথাও প্রকাশ পেয়েছে সংবাদমাধ্যমে। আরও লেখা হয়েছে, ওই নেতার স্ত্রীর আটকের খবর পেয়ে তৎপর হয়ে উঠেছিল পুলিশের একাংশ। যদিও, কোনও ক্ষেত্রেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করা হয়নি। তবে প্রকাশিত এমন সংবাদ হজম করতে পারছেন না তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা জবাব দিতে চাইছে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা। তারাই অভিষেকের নাম প্রকাশ্যে নিয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের যুব নেতার স্ত্রীর বিমানবন্দরে আটক হওয়া ও পরে প্রভাব খাটিয়ে বেরিয়ে আসার সংবাদটি হাতে পেয়ে ভোটের বাজার গরম করতে ব্যাপক প্রচারে নেমেছে বিজেপি। তারা এই বিষয়টিকে উস্কে দিয়ে ফায়দা তুলতে চায়। ভোটের মুখে এমন প্রচার আটকাতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। বিজেপিকে জবাব দিতে তৃণমূলও সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করতে চাইছে। সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কর্মী সমর্থকদের। সব মিলিয়ে অভিষেক ও অভিষেকের স্ত্রীকে নিয়ে ভোটের বাজারে অন্য মাত্রা পেয়েছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.