রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ হোক

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে কিংবা ইঙ্গিতে নীল-সাদা রং করে যাঁরা মুড়ে দিয়েছেন তাদের বহু কেলেঙ্কারির মধ্যে কিছু কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করছে। শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের কাটমানি খাওয়ার তালিকায় উপাচার্য অনিল ভূঁইমালি, শিক্ষক অশোক দাসের নাম জড়িয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস নেতা মোহিত সেনগুপ্ত। উপাচার্য অনিলবাবু কিংবা শিক্ষক অশোক বাবু কাটমানি খেয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন কিনা সেটা তদন্তসাপেক্ষ। যদিও সেই তদন্ত কোনোদিনই হবে কিনা সেটা কেউ জানে না। রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় বিপুল অংশে আর্থিক দুর্নীতিতে তৃণমূলের জেলা নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ফিনান্স অফিসার সকলেই আকণ্ঠ ডুবে আছেন। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে জেলার তৃণমূলের নেতা, ছাত্রনেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারের মদতে।
নীল-সাদা রঙে মোড়া রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিলবাবুর এবং শিক্ষকদের কাটমানির খাওয়ার খবর বিস্তারিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। আর এবারের দুর্নীতিতে খোদ উপাচার্যের পিএইচডি’র গাইড হওয়ার মতো আরও বড়ো দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাবার খবর প্রকাশ পাচ্ছে। তারই সুপারভিশনে পিএইচডি প্রার্থীদের সমাবর্তনে সার্টিফিকেটও প্রদান। করেছেন মাননীয় চ্যান্সেলর অর্থাৎ রাজ্যের রাজ্যপাল মহোদয়।
একজন উপাচার্য যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলার ফ্যাকাল্টি নন এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি’র রেজিস্ট্রেশন খোদ উপচার্য পেতে পারেন না এই সাধারণ বোধটুকুও কি তাঁর নেই? তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট এবং অর্ডিন্যান্স আছে সেখানে পিএইচডি’র নিয়মাবলী বিস্তারিতভাবে লেখা আছে। প্রশ্ন হলো, এই স্ট্যাটুটে যা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট অনুসরণ করে তৈরি হয়েছে সেখানেও কি খোদ উপচার্যকে পিএইচডি করাবার এক্তিয়ার বা অধিকার দেওয়া হয়েছে? পিএইচডি করাবার আগে প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারভাইজার সহ রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। আর রেজিস্ট্রেশন করান স্বয়ং রেজিষ্ট্রার। এখন রেজিস্ট্রার পদাধিকার বলে উপাচার্যের নীচে অবস্থান করেন। অর্থাৎ গোটা ব্যাপারটিই যথেষ্ট গোলমেলে। আর এই গোলমালের মধ্যেই উপাচার্য পিএইচডি করিয়ে ফেলেছেন যা নিয়ে বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও সুরিন্দর সিংহ আহলুআলিয়া সরাসরি ইউজিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় সহ অপর দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি ডিগ্রি, আর্থিক অনুদান সব ব্যাপারেই ভুরিভুরি অনিয়মের অভিযোগ বারবার করে ঘুরে ফিরে আসে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশের সীমাহীন লোভ, অনিয়মের সঙ্গে আপোশ, পিএইচডি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ছাত্রীদের নামে কেলেঙ্কারি, ছাত্রদের থেকে উৎকোচ বা কাটমানি নেওয়া, পিএইচডি প্রার্থীদের থেকে বিদেশযাত্রার খরচ আদায় করা, দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের জন্য ট্রেনের এসি ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া আদায় করা, দেশের বিভিন্ন হোটেল ভাড়া পিএইচডি প্রার্থীদের থেকে নিয়ে নেওয়ার ঘটনা আকছার ঘটছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পিএইচডি প্রার্থী জানিয়েছে যে তার গাইডের ‘তীর্থযাত্রার’খরচ বারবার তাকেই জুগিয়ে যেতে হয়েছে।
বছর পনেরো ধরে চেনা পরিচিত গাইডরাই এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে ফিরে আর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত হন। অর্থাৎ পিএইচডি ইন্টারভিউ বোর্ডে বা শিক্ষক নিয়োগে সিলেকশন কমিটিতে পরিচিত লোকজনই থাকেন। এই পরিচিত লোকজনকে বলা হয় এক্সটারনাল এক্সামিনার। এটা একটা ওপেন সিক্রেট। এই এক্সটারনালরা এত অপরিচিত যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যাপক বা লোকজনদের সঙ্গে এদের দহরম মহরম বহুদিনের। ক্ষেত্র বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকরা কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দিতে হবে আগেই এই এক্সটারনালদের বলে দেন। সেই মতো পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া কিংবা শিক্ষক নিয়োগ হয়ে থাকে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ঘাটের জল খাওয়া এক অধ্যাপক পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনে এক্সটারনাল হিসেবে উপস্থিত থাকেন। তাঁর জনসংযোগ এতই তীব্র যে ইন্টারভিউ হওয়ার আগে থেকেই তিনি। প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। তবে এই জনসংযোগের ব্যাপারে অভূতপূর্ব নজির সৃষ্টি করে গেছেন মালদহ স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সদস্য সাদিকুল ইসলাম। তাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া একজন প্রার্থীও উত্তরবঙ্গের স্কুলে চাকরির ছাড়পত্র পেতেন না। মালদহের ইংরেজবাজারের তার বাড়ির সামনে মহিলা চাকরি প্রার্থীরা এবং তাদের অভিভাবকরা কড়জোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন তার কৃপাদৃষ্টির জন্য। কোচবিহার থেকে মালদা পর্যন্ত স্কুল শিক্ষকদের চাকরির নিয়োগে তিনিই ছিলেন শেষকথা। মালদহ কলেজের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, কোর্ট বা ইউজি কাউন্সিলের শেষকথা ছিলেন তিনি। সিপিআইএম-এর সর্বগ্রাসী ও সর্বভুক রাজনীতির এক জীবন্ত প্রতিমূর্তি ছিলেন তিনি। এহেন শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক সেই সম্রাটের শেষ পরিণতি ছিল অত্যন্ত বিয়োগান্তক। একই ব্যক্তি বিভিন্ন শিক্ষা কমিটিতে, কলেজ সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটিতে ঘুরে ফিরে উপস্থিত থাকা আর সেই উপস্থিতির কথা আগাম জানান দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, ভোগবিলাসের উপকরণ ক্রয় করা কিংবা শ্যালিকার বিবাহের খরচ তুলে নেওয়া, বিদেশ ভ্রমণের টাকা আদায় করার বিনিময়ে পিএইচডি দিয়ে দেওয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির ব্যবস্থা করার হীন কাজের পরিণতি খুব মারাত্মক হতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের একাংশ নানা ধরনের বেআইনি, নীতিবিগর্হিত ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককুল ভুলে গিয়েছেন যে তাদের মূল কাজ ক্লাসে পাঠদান। ক্লাসে পড়ানোর উপরেই তাদের সর্বাঙ্গীণ মনোযোগ থাকার কথা, অথচ পড়ানো বাদ দিয়ে বেশিরভাগ অধ্যাপক এখন পিএইচডি করানোতেই মত্ত হয়ে উঠেছেন। এটা ঠিক যে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত। কিন্তু গবেষণার নাম করে কিংবা পিএইচডির নাম করে যে অরাজকতা, নীতিহীনতা, অনৈতিকতা এবং আর্থিক লেনদেন চলছে সে সম্পর্কে রাশ টানবার প্রয়োজন আছে। জওহরলাল ন্যাশনাল ইউনিভারসিটির ইতিহাসের অধ্যাপিকা তনুকা সরকার এক প্রবন্ধে তারই এক সহকর্মী মাঙ্গলিকের প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে ক্লাসে ভালো ভাবে পড়ানোর জন্য তিনি কখনোই গবেষণার জগতে পৌঁছাননি। মাঙ্গলিক মনে করতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রথম, প্রধান এবং শেষ কাজ শিক্ষাদান। শিক্ষাদানে সামান্য গাফিলতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যায়। আর এখন তো কলেজ স্তরের শিক্ষাদান পঠনপাঠন সামগ্রিকভাবে চুলায় নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ২৫-৩০ বছরের তথাকথিত বামপন্থীদের কালাপাহাড়ি শিক্ষানীতি এবং উচ্চশিক্ষায় পদে পদে অন্তর্ঘাত চালানো সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদাধিকারিদের পণ্যের মতো ব্যবহার করার মতো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফোঁপরা করে দিয়েছে।
কলেজগুলোতে টুকলির এতটা বাড়বাড়ন্ত সমস্ত অভিভাবক এবং শিক্ষানুরাগীদের চরম লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। মালদহের চঁচল, কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুর, সামসি, গাজোল, পাকুয়াহাট প্রভৃতি কলেজে টুকলি চলে। পরীক্ষার সময় গুন্ডাবদমাইশ, লুম্পেন, চোরডাকাত, সমাজবিরোধী দুষ্কৃতীরা গোটা পরীক্ষা হলের দখল নিয়ে নিচ্ছে। গোছা গোছা। টুকলির কাগজ নিয়ে পরীক্ষা সাঙ্গ হচ্ছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় টুকলির জন্য গোটা দেশেই কুখ্যাতি অর্জন করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিষ্ট্রার, কন্ট্রোলার অব এক্সাম, ইন্সপেক্টর অব কলেজেস প্রমুখ পদাধিকারী। টুকলির প্রতি সীমাহীন উদাসীনতা এবং প্রত্যক্ষে এবং পরোক্ষে প্রশয় দিয়ে চলেছেন। এই দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় টুকলি এক প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা নিয়েছে। গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাটা চরম ভাবে বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। টুকলির এই সুতীব্র স্রোতে গোটা পরীক্ষাটা ভেসে গিয়েছে তাই নয়, উপাচার্য, আইসি, রেজিষ্ট্রার, ইন্সপেক্টর অব কলেজে এইসব পদের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। এক একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পুষতে সরকারের খরচ হয় ১০-১২ লক্ষ টাকা। ধরে নেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাস্টোডিয়ান হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের টুকলি আটকানোর কোনো চেষ্টা এই সব কাস্টোডেয়ানদের নেই। আরও বিস্ময়ের কথা, টুকলির ফলে গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাটা প্রহসনে পরিণত হয়ে গেলেও গণমাধ্যমে এই বিষয়ে টু শব্দটিও নেই। সম্প্রতি নোবেল লরিয়েট অমর্ত্য সেন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি সম্পর্কে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। তার কথার বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মালদহের কালিয়াচক থেকে শুরু করে ইসলামপুর গোয়ালপোখর প্রভৃতি অঞ্চলের অপরাধ প্রবণতা বিশেষ করে জালনোটের কারবার ও স্নাতক পরীক্ষার টুকলি বিষয়ে তার সুচিন্তিত অভিমত থাকলে টুকলির বাড়বাড়ন্ত হয়তো কিছুটা কমত। কিন্তু তিনি এবিষয়ে মৌনীবাবা। অমর্ত্য সেনের প্রসঙ্গের অবতারণা এই কারণেই যে, শিক্ষা বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তার মুখ নিঃসৃত বাণী আজকাল বেশি শোনা যাচ্ছে। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে টুকলির স্রোত চললেও গণমাধ্যম এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও তাঁর মতোই একই ভাবে নীরব।
লক্ষণীয়, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের খোদ উপাচার্যের পিএইচডি করাবার ব্যাপারে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক কিন্তু মুখ। খোলেনি। মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বা কলেজগুলোর অভ্যন্তরে অরাজকতা, বহিরাগতদের নিয়ে কিংবা টুকলির স্রোত নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেন না। পিএইচডি সংক্রান্ত বেআইনি কাজের ব্যাপারেও শিক্ষকরা নীরব থাকছেন। শিক্ষক সমাজই যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরের অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে মুখ না খোলেন তাহলে সাংবাদিক কিংবা মন্ত্রীরা সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে অরাজকতা কতটা দুর করতে পারবেন? রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ শিক্ষক অশোকবাবুর এহেন কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র উপাচার্য সমাজকেই অত্যন্ত ছোটো ও হেয় করেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না যদি উপাচার্য কিংবা এই শিক্ষকরা পড়ানোর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতেন। কিন্তু গোড়ায় গলদ। এই রাজ্যের শিক্ষক সমাজ পড়ানো ভুলে গিয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, দুষ্কৃতী, প্রভাবশালী লোকজন, উপাচার্য এবং শিক্ষকরা এক অশুভ আতাত গড়ে তুলেছেন। যে কারণে প্রাথমিক স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। পর্যন্ত প্রায় সর্বস্তর থেকে প্রকৃত শিক্ষা পলায়ন করেছে।
শুভ্র স্যান্যাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.