(তৃতীয় ভাগের পর)http://ritambangla.com/state/a-review-on-seventeenth-lok-sabha-election-third-part/

আগের পর্বে বলেছিলাম আলোচনা শুরু করবো বসিরহাট, বনগাঁ এবং ডায়মন্ডহারবার দিয়ে। গরুপাচার, চোরা চালান আর পঞ্চান্ন শতাংশ সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর কাছে বাকি পঁয়তাল্লিশ শতাংশের ক্রমাগতঃ প্রান্তিক আর উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া-এই হচ্ছে বসিরহাটের দৈনন্দিন জীবন। কতটা সঙ্গীন বসিরহাটের পরিস্থিতি সেটা মালুম হয় পরপর দু-বার তৃণমূলকে তার জয়ী প্রার্থীকে পরিবর্তন করতে দেখে। ২০১১ র পর থেকে বসিরহাট দুটো বড় অশান্তি দেখেছে। শাসকদল কি শঙ্কিত যে দেগঙ্গার ঘটনার পরেও যে মানুষেরা একজোট হয়নি তারাও বসিরহাট কাণ্ডের পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরেই লুকিয়ে আছে বসিরহাটের ভাগ্য। একথা তো সত্যি যে চরম বিপদের মুখে শেষবার বসিরহাটের মানুষ অভূতপূর্ব প্রতিরোধ দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, এখান থেকেই কয়েক বছর আগে বিজেপি একক ক্ষমতায় তার প্রথম জয়ী বিধায়ক পেয়েছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও কৌম ভোটের বিভাজন না হলে বসিরহাট বিজেপির হাতে আসবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি সিপিআই বসিরহাটে হিন্দু প্রার্থী দিয়েছে, অন্যদিকে তৃণমূলের অহিন্দু প্রার্থীর হিন্দু ঘনিষ্ঠতা আর চলচ্চিত্রজনিত পরিচিতি আছে। এই দুটো ঘটনাই একদিকে যেমন কৌম ভোটকে তৃণমূলে সংহত করবে অন্যদিকে সাধারণ ভোটের বিভাজন ঘটাবে। উপরন্তু বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে মৃদু ক্ষোভও আছে দলীয় স্তরে। এই পরিস্থিতিতে, বসিরহাট নিয়ে বহু বিজেপি সমর্থকদের বিপুল উন্মাদনা থাকলেও নতুন পরিস্থিতিতে বসিরহাটে পরিবর্তন আনা বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর পক্ষে বেশ দুষ্কর। তবুও বলব পূর্নোদ্যমে প্রচার চালাতে পারলে বিজেপি বসিরহাট জয় করতে পারে। বিশেষতঃ কংগ্রেস এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি, কংগ্রেস অহিন্দু প্রার্থী দিলে বিজেপির পক্ষে পরিস্থিতি একটু সহজ হবে।

অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার হচ্ছে বাংলার যুবরাজভূমি। ক্যানিং দাঙ্গার দগদগে ক্ষত নিয়ে বাঁচা ডায়মন্ডহারবার সম্পর্কে সবার আগে যেটা জানানো দরকার তা হলো বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে ঘটে যাওয়া নিঃশব্দ ‘বিপ্লব’। বীরভূমের দিকে নজর থাকায় হয়তো অনেকেই খেয়াল করেননি গত পঞ্চায়েতে এখানেও একটাও জেলা পরিষদ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নি। পঞ্চায়েত সমিতির মাত্র ৪% আসনে ভোট হয়ছে যা বাংলার মধ্যে সর্বনিম্ন!!! শাসক দল কি ভয় পাচ্ছে? নাকি স্রেফ ক্ষমতার আস্ফালন? শুধু ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে গিয়ে যুবরাজের ভাবমূর্তিতে কালিমালেপনের ঝুঁকি নেবে দল? যে ৫৫% ভোট দেখা যাছে শাসক দলের ঝুলিতে তা কি আসল ছবির প্রতিফলন? ডায়মন্ডহারবারেও প্রায় ৩৫% কৌম ভোট। ক্যানিং দাঙ্গা কি সাধারণ ভোটকে সংহত করবে? বামেদের অহিন্দু প্রার্থী কি তৃণমূলের কৌম ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাবে? সঠিক ছবি পাওয়া খুবই মুশকিল কিন্তু হ্যাঁ এটা নিশ্চিত যে হিসাব যাই বলুক, ডায়মণ্ডহারবারে তৃণমূল ইন্দ্রপতনের ভয় পাচ্ছে।

আর রইল বনগাঁ। বনগাঁর ভোট সরাসরি নিয়ন্ত্রিত করে যে মতুয়া সমাজ সেই সমাজ আজ তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে আড়াআড়ি বিভক্ত। এই সমাজ কিন্তু কিছুদিন আগেও পুরোপুরি তৃণমূলের সঙ্গে ছিল। ভোটের ফিজিক্স বলে যখন তোমার জনভিত্তির প্রবণতা নীচের দিকে, ভোটের দিন যত এগোবে তত তা দ্রুত হারে কমবে। বনগাঁয় তৃণমূল তার ভোট ব্যাঙ্কে ধস আটকাতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই অঞ্চলকে আলাদা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিশেষতঃ নাগরিক বিল বাংলার আর কোন জায়গায় প্রভাব না ফেলুক রানাঘাট আর বনগাঁতে ফেলবেই। এন আর সি র বিরোধিতা করা তৃণমূল নাগরিক বিলের বিরোধিতা করার জবাবদিহি করতে পারেনি। ভোট বাক্সে এর দায় তাদের সামলাতে হবে। বনগাঁ তাই বিজেপির অন্যতম সম্ভাবনাময় সিট। বনগাঁ, বাগদা আর গাইঘাটায় যথেষ্ট লীড নিতে পারলে শুধু কল্যাণী আর হরিণঘাটা দিয়ে তৃণমূল বনগাঁ ধরে রাখতে পারবে না।

অর্থাৎ কেস স্টাডি ৩ অনুযায়ী দক্ষিণের আট সিটে বিজেপি এখন সর্বাধিক ৩, তৃণমূল সর্বনিম্ন ৫, বাকিরা ০।

এবার আসি শিল্পাঞ্চলের আট সিটে। অবশ্য আজকের বাংলায় একে শিল্পাঞ্চল না বলে শিল্প স্মশানই বলা উচিত। যাই হোক সিট গুলো হলো- যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, দমদম, বারাসাত, ব্যারাকপুর, হাওড়া এবং শ্রীরামপুর। এদের মধ্যে কলকাতা উত্তর দক্ষিণের দুটি আসনে আর দমদমে কোন পঞ্চায়েত আসন নেই। বাকি আসন গুলিতেও গ্রামীন ভোট খুবই কম তবু সারণী 6A এ সেখানকার নমিনাল ট্রেণ্ডও দেখে নেবো। শতাংশের হিসেব স্পষ্টই বলছে সব আসনেই তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। এবার আসন ধরে দেখা যাক।

যাদবপুরে কিছু দিন আগেও একটা গুজব ভাসছিল যে চলচিত্রাভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াবেন। সেই প্রসঙ্গে জনৈক ভোটারের সরস মন্তব্য তাহলে এবার যাদবপুরে নোটা জিতবে। এই কথা হতে আদতে তৃণমূল বা বামেদের প্রার্থীর প্রতি তার মনোভাবটাই বেশী পরিস্ফুট হয়। হ্যাঁ, এটা একটা উদাহরণ মাত্র, কিন্তু এও বাস্তব। মীম নিয়ে যতই আপত্তি থাক প্রার্থী হিসাবে মিমি চক্রবর্তী যাদবপুরের শহুরে ভোটকে তৃণমূল থেকে অনেকটা দূরে ঠেলে দিয়েছে, অথচ একই সঙ্গে বিকাশরঞ্জনের যোগ্যতা নিয়েও মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। সুজন চক্রবর্তী এই আসনে প্রার্থী হলে ফলাফল কি হতো বলা মুশকিল কিন্তু অধ্যাপক অনুপম হাজরার এই আসনে প্রার্থী হওয়া ভোট সমীকরণকে একটা নতুন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। দুটো জিনিস মনে রাখতে হবে- প্রথমতঃ যাদবপুর মানে শুধু এইটবি চত্বর আর টালিগঞ্জ মেট্রো নয়, সোনারপুর, বারুইপুর আর ভাঙরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও। সোনারপুর-বারুইপুরে বিজেপির জনভিত্তি বাড়ছে আবার ভাঙরে তৃণমূলের আধিপত্য এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দুইই প্রশ্নাতীত। দ্বিতীয়তঃ যাদবপুর অতীতে বহুবার আমাদের অবাক করেছে, কাজেই এবারেও অবাক করলে আশ্চর্য হবো না।

কলকাতা দক্ষিণ হচ্ছে ষোড়শ লুইয়ের বাস্তিল দুর্গ, পটারের গল্পের হরক্রাক্স। কলকাতা দক্ষিণে মালা রায়, নন্দিনী দেবী, চন্দ্র বসু এরা স্রেফ এক একটি নাম। কলকাতা দক্ষিণে লড়াই শুধু আবেগ আর অভিমানের মধ্যে, অহঙ্কার আর আভিজাত্যের সংজ্ঞার মধ্যে। হ্যাঁ, হয়তো রাসবিহারী বা ভবানীপুর থেকে কিছু লীড আসতে পারে, ব্যস ঐটুকুই। শুধু কসবা থেকেই তা পূরণ হয়ে যাবে। কলকাতা দক্ষিণ ২০০৪ এও মমতাকে ফেরায় নি, এবারেও ফেরাবে না।

কলকাতা উত্তর বরং অনেক এক্সেন্ট্রিক, অনেক সহজ। শেষ বারের ভোটের ফল সুদীপ ৩৬%, রাহুল ২৬%, বাম ২০%, কং ১৪%। কংগ্রেস এখনো প্রার্থী দাঁড় করায় নি। প্রার্থী দাঁড়ালে বিজেপির এডভ্যান্টেজ না দাঁড়ালে তৃণর। বামেরা এখানে আর ফ্যাক্টর নয়, যদি ধরি বামেদের অর্ধেক ভোট বিজেপিতে যাবে, তাতে সুদীপ-রাহুল ৩৬-৩৬। আচ্ছা একটু অন্যভাবে দেখা যাক- জোড়াসাঁকো, চৌরঙ্গীতে বিজেপি যে লীড পাবে তা এন্টালিতে হারাবে। বেলগছিয়া আর বেলেঘাটার কিছু বাম ভোট যদি বিজেপিতে যায় তাহলে লড়াই সমান সমান। প্রশ্ন হচ্ছে শশী পাঁজার শ্যামপুকুরের সাবেক ফরওয়ার্ড ব্লকের ভোট কি রাহুল বাবু টানতে পারবেন যাতে পরেশ পালের মানিকতলার সঙ্গে টক্কর দেওয়া যায়? ইয়েস, কলকাতা নর্থ ইজ রেডী টু ফল (পড়ুন চেঞ্জ) – রাহুল বাবু পারলে দিল্লী যাবেন, না পারলে পরের বিধানসভা্তেও তাকে আর টিকিট দেওয়া উচিত কিনা বিজেপি নেতৃত্বের ভাবা উচিত।

স্বস্তিতে থাকবেন না দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সৌগত রায়ও। ২০০৯ থেকে ২০১৪ এ তার ভোট কমেছে প্রায় ৫%। সেই ধারা অব্যহত থাকলে শমীক বাবুর কাছে তিনি সিটটি খোয়াবেন। এই লোকসভার অন্তর্গত কামারহাটি-পানিহাটিতে তৃণমূল লীড নিলেও বরানগর-খড়দাতে বিজেপির ভোট বাড়বে। এই অবস্থায় মূল লড়াই দমদম আর বিধাননগরের মধ্যে, পড়ুন সুজিত বসু আর মুকুল শিষ্য সব্যসাচীর (?) মধ্যে। দমদম আগে দুবার বিজেপিকে ফেরায় নি এবারেও নাও ফেরাতে পারে।

বারাসাতে এবারে বিজেপির ভোট অনেকটা বাড়লেও আসনটি তৃণমূলের কাছেই থাকবে। বরং বিজেপি তুলনামূলক ভাবে আশাবাদী থাকতে পারে ব্যারাকপুর আসন নিয়ে। দীনেশ বাবুর নিজস্ব সাংগাঠনিক ভিত্তি নেই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গাইঘাটা থেকেই লীড দিতে পারবেন কিনা সন্দেহ। অর্জুন সিংহ ছিলেন মমতার দুর্দিনের বন্ধু। ২০০৬ এর বুদ্ধ ঝড়ে যখন তৃণমূল ২৯ এ নেমে গিয়ে প্রধাণ বিরোধী দলের মর্যাদা খোয়াতে বসেছে সেইসময় অর্জুন সিংহ একক ক্ষমতাবলে দোর্দণ্ড প্রতাপ তড়িত তোপদারের মেশিনারীকে হারিয়ে ২৯০০০ ভোটে জিতে মমতার মান রক্ষা করেন। দীর্ঘদিন ধরে দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে মমতার জটিল রসায়নের প্রেক্ষিতে তিনি আশা করেছিলেন এতোদিনের আনুগত্যের উপযুক্ত সম্মান পাবেন। না পাওয়াতে দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন, একদা প্রতিদ্বন্দ্বী মুকুল রায়ের হাত ধরে। ভোটারদের উপর কি প্রভাব পড়বে? পঞ্চায়েতে ব্যারাকপুর এরিয়ার গ্রামে তৃণমূলের ভোট প্রায় ৬৬%- কার সূত্রে? এই দুই প্রশ্নেই উত্তর আছে ব্যারাকপুরের। অর্জুনের খাস তালুক ভাটপাড়া-জগদ্দলের পাশাপাশি তার আত্মীয় সুনীল সিং এর নোয়াপাড়া আর মুকুলপুত্রের বীজপুরে যদি বিজেপি লীড পায় আর নৈহাটির সাধারণ মানুষ যদি বীভৎস মৌলবাদী আক্রমণের কথা না ভোলে তাহলে ধরে নেওয়াই যায় ব্যারাকপুরে এবার পদ্ম ফুটবে।

হাওড়ার বর্তমান হিসাবে তৃণ আর পদ্মের মধ্যে ভোট পার্থক্য ৮%। তদুপরি বামেদের প্রায় ১৭% ভোট আছে কংগ্রেসের প্রায় ৫%। যদি বাম থেকে কিছু ভোট পদ্মে যায়, এবং বিজেপি উপযুক্ত প্রার্থী দিলে যদি তৃণের ভোট থেকে ২% ও স্যুইং আসে তাহলে হাওড়া বিজেপির হাতে আসতে পারে। কিন্তু বিজেপি এখনো হাওড়াতে প্রার্থীই ঠিক করে উঠতে পারেনি। কাজেই আপাততঃ এই আসনে তৃণমূলকেই এগিয়ে রাখতে হচ্ছে।
এই অঞ্চলের শেষ আসন শ্রীরামপুর। সকল হিসাব বলছে এই আসন তৃণমূলের নিশ্চিত। কিন্তু একটা নাম সেই হিসাবকে উলটে দিচ্ছে। সেটা হলো বিজেপি প্রার্থী যুব মোর্চার নেতা দেবজিত সরকার। তরুণ এই নেতাকে আমরা দেখেছি প্রাণভয় তুচ্ছ করে দাড়িভিট স্কুলে জনান্দোলনকে নেতৃত্ব দিতে। জনশ্রুতি যে রাজ্যনেতৃত্বের কাছ থেকে সহযোগিতা না পেয়েও তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাই অনমনীয় লড়াই চালিয় গেছেন। এহেন নেতা ইতিমধ্যেই এই নতুন কেন্দ্রে এসে শ্রীরামপুরে বেহাল শিল্পদশা নিয়ে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে কল্যাণবাবুর জনপ্রিয়তায় ইতিমধ্যেই ভাঁটার টান। ২০০৯ এ প্রাপ্ত ৫৪% ভোট ২০১৪তে ৪০% এ নেমে গেছে। ২০১৪ তে বামদের ভোট প্রায় ২৮%। অন্যান্য আসনের আধুনিক পরিস্থিতির সঙ্গে তাল রেখে এই বামভোটের অর্ধেক যদি বিজেপিতে আসে তাহলে বিজেপির ভোট দাঁড়ায় প্রায় ৩৭% অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ৩%। যোগ্য প্রার্থীর হাতে বিজেপির পতাকা, আসনে তাই পদ্ম ফোটার সম্ভাবনা প্রবল।

অর্থাৎ বৃহত্তম সম্ভাবনা পর্যালোচনা শেষে বিজেপি এই আটটি আসনের মধ্যে সর্বাধিক- ৪, তৃণমূল সর্বনিম্ন -৪, অন্যান্য শূন্য। তদনুযায়ী পরিসঙ্খ্যান দেওয়া হলো সারণী 6B তে।

(এর পর আগামী পর্বে)http://ritambangla.com/state/a-review-on-seventeenth-lok-sabha-election-fifth-part/

ড: অভিষেক অধিকারী।
সহকারী অধ্যাপক,আই আই টি

(এই পর্বশেষে আলোচিত ৩২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল = ১৫-২৯, বিজেপি = ৩-১৬, কং = ০-১, বাম = ০)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.