দুয়ারে রেশন প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’। রেশন সামগ্রী নয়, জলপাইগুড়িতে গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি দিয়ে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডিলারের বিরুদ্ধে। একটি বাংলা চ্যানেলের খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। শুরু হল তদন্ত।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বিপুল ভোটে জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগে জেলায় জেলায় পরীক্ষামূলক চালু হয়ে গিয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’। এলাকায় ক্য়াম্প করে গ্রাহকদের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ডিলাররাই। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি রেশন দোকান। প্রত্যেকটি জেলা থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিলারকেও।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের অধীন বালাপাড়া গ্রামেও চলছে ‘দুয়ারে রেশন’ ক্যাম্প। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা রেশন পাচ্ছেন না! কেন? অভিযোগ, স্থানীয় ডিলার চন্দন সরকারের টাকার বিনিময়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন। এই খবর সম্প্রচারিত হয় একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলে।
খবরের জেরে নড়চড়ে বসেছে খাদ্য দফতর। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার (ফুড এন্ড সাপ্লাই) অজয় কুমার মিশ্র। প্রয়োজনে অভিযুক্ত ডিলারের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। যদিও টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।