BJP’র সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে বাংলাকে গুরুত্ব! গুরুদায়িত্ব পেলেন রাজু বিস্তা

বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে (BJYM) কি গুরুত্ব বাড়ছে বাংলার? দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের পর মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন বাংলার তিন বিধায়ক। পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ, এমনকী, মতুয়া মহলের প্রতিনিধিরা মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। এবার যুব মোর্চার সংগঠনে গুরুত্ব পেলেন বাংলার আরও দুই বিধায়ক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যুব মোর্চার সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন সাংসদ রাজু বিস্তা।

বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টির যুব সংগঠন যুব মোর্চার তরফে টুইট করে সাংগঠনিক রদবদলের কথা জানানো হয়। সর্বভারতীয় যুব সংগঠনে একাধিক নতুন মুখকে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাংলার এক সাংসদ ও এক বিধায়ক অন্যতম। একজন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা। অপরজন হলেন রাজু বিস্তা। দার্জিলিংয়ের সাংসদকে যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়েছে। আর দুবরাজের বিধায়ককে করা হয়েছে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তবে রাজু বিস্তাকে নয়া পদ দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার রদবদলের পর থেকেই দার্জিলিংয়ের গোর্খাদের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছিল। প্রশ্ন উঠছিল, কেন গোর্খা প্রতিনিধি হিসেবে রাজু বিস্তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হল না? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিজের অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন বিজেপির টিকিটে জিতে আসা বিধায়ক নীরজ জিম্বা (Niraj Jimba)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে তাঁর অসন্তোষের মূল কারণ দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তাকে শামিল না করা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জিম্বা বলছেন,”মন্ত্রিসভার রদবদলে রাজু সিং বিস্তার মতো যোগ্য প্রার্থীকে বাদ রাখায় দার্জিলিংয়ের মানুষের মনে ক্ষোভ জমেছে। সেই ২০০৯ থেকে দার্জিলিং থেকে বিজেপি সাংসদ পাচ্ছে। রাজু সিং বিস্তা (Raju Singh Bista) এই এলাকায় উন্নয়নের কাজ করছেন। দার্জিলিং জেলার সবক’টি আসন তিনি BJP-কে জিতিয়েছেন। তাছাড়া তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চলের আরও ১০টি আসনে তাঁর প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়ায় গোর্খারা হতাশ।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই ক্ষোভকে চাপা দিতেই এবার রাজু বিস্তাকে সাংগঠনিক গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল।


এদিকে অনুপ সাহা অনুব্রতর গড়ে গেরুয়া শিবিরকে জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে কেন্দ্রীয় যুব সংগঠনের দায়িত্ব দিয়ে বীরভূমের মাটিতে বিজেপির সংগঠনকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করল বিজেপি বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.