করোনা (Covid-19) মহামারী মাঝেই ফের স্বাভাবিক হচ্ছে ক্রীড়াজগত। ক্রিকেটের (Cricket) মতোই শুরু হয়েছে ফুটবল (Football)। যদিও করোনা আবহে ফুটবলের মতো বডি কন্ট্যাক্ট খেলায় জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই, রিজার্ভ ফুটবলারদের বসতে হবে গ্যালারিতে, যত্রতত্র থুতু ফেলা নিষেধ খেলোয়াড়দের। শুধু তাই নয়, গ্যালারিতে বসলেই মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধিও। তবে মাঠের ভিতরে যেহেতু সুযোগ নেই, তাই সেখানে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানার কোনও নিয়ম জারি হয়নি। কিন্তু ফুটবল মাঠে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানলে কী হতে পারে, তার সাক্ষী থাকল জার্মানির লোয়ার ডিভিশনের একটি ক্লাব। একটি বা দু’টি নয়, একেবারে ৩৭ গোল হজম করে বসল তারা।
করোনা আবহে জার্মানিতেই (Germany) প্রথম পেশাদার ফুটবল শুরু হয়েছিল। সেই জার্মানিতেই এবার করোনার সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে গিয়ে ৩৭–০ গোলে হারল জার্মান একাদশ ডিভিশনের দল রিপডর্ফ। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে ফুটবল খেলেছে তারা। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে প্রতিপক্ষ এসভি হোল্ডেনস্টেড। ৩৭ গোল দিয়েছে তারা রিপডর্ফকে। আসলে সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে গিয়ে মাঠজুড়ে অনেকটাই ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছিল। আর তাই কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল হোল্ডেনস্টেডেরও। ম্যাচের প্রতি দু–তিনমিনিট অন্তর একটি করে গোল হয়েছে।
কিন্তু কেন সামাজিক দূরত্ব মানল দলটি? আসলে হোল্ডেনস্টেডের খেলোয়াড়রা নিজেদের আগের ম্যাচে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। পরে করোনা পরীক্ষা করালেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু হোল্ডেনস্টেডের খেলোয়াড়রা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন না যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ববিধি মানার সিদ্ধান্ত নেয় রিপডর্ফ। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে প্রথম দলের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়। শুধু তাই নয়, ম্যাচে মাত্র সাতজন ফুটবলার নামায় ক্লাবটি। তাঁরাও অবশ্য সাইডলাইনেই দাঁড়িয়েছিল। আর এই সুযোগেই একের পর গোল করে যায় হোল্ডেনস্টেড।
এদিকে, ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে লিও মেসি (Leo Messi)। তাঁকে নিয়ে এবার শুরু ক্লাব বনাম দেশ দ্বন্দ্ব। ঘটনাটা কী? অক্টোবর মাসে ২০২২ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের দুটো ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা (Argentina)। সূচি অনুযায়ী ৮ অক্টোবর আর্জেন্টিনার ম্যাচ ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে। ১৩ অক্টোবর আর্জেন্টিনা বনাম বলিভিয়া। মেসি যদি আর্জেন্টিনার দুটো বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে দেশের জার্সিতে মাঠে নামেন তা হলে বার্সার (Barcelona) হয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো খেলা হবে না কিংবদন্তির। কারণ স্পেনের নিয়ম অনুযায়ী লাতিন আমেরিকা থেকে কেউ দেশে ঢুকলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আর মেসিকে যদি সেই সময় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় তা হলে বার্সার তিনটে লা লিগা ম্যাচে নামতে পারবেন না। যে তিন ম্যাচের মধ্যে রয়েছে এল ক্লাসিকোও।