আইপিএলের কোনও ম্যাচের টস কখনও এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা সন্দেহ। টস হারলে এবং হায়দরাবাদ ব্যাটিং নিলে ম্যাচ শুরুর আগেই শেষ হয়ে যেত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অভিযান। তবে মুম্বই সমর্থকদের উত্কণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে টস জেতেন রোহিত শর্মা। তিনি সঙ্গত কারণেই শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে লাইফ লাইন পায় মুম্বই। অন্তত টসের পরেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হল না ডিফন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। তারা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করার সুযোগ পাবে।
মুম্বইয়ের প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকার অঙ্ক:-
শেষ ম্যাচে মুম্বই জিতলে নেট রান-রেটের অঙ্কে প্লে-অফের চতুর্থ দল নির্ধারিত হবে। সেক্ষেত্রে কলকাতার নেট রান-রেট টপকাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাট করে অন্তত ২০০ রান তুলতেই হবে এবং সেই সঙ্গে ১৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিততে হবে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা হলেও আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে এমন একপেশেভাবে ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব। তবু খাতায়-কলমে মুম্বই প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে রয়েছে বলতেই হয়।
তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স যদি পরে ব্যাট করত, তবে হায়দরাবাদের ঝুলিয়ে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জয় তুলে নিয়ে কলকাতার নেট রান-রেটকে টপকানো কোনওভাবেই সম্ভব হতো না রোহিতদের পক্ষে। সুতরাং মুম্বই পরে ব্যাট করলে তাদের প্লে-অফে যাওয়ার আর কোনও সম্ভাবনাই থাকত না।
আপাতত রোহিতদের পরবর্তী টার্গেট হল, স্কোরবোর্ডে ২০০-র বেশি রান তোলা। সেই লক্ষ্যে তারা ইনিংসের শুরুটা করে যথাযথভাবে। প্রথম তিন ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে মুম্বই ৪১ রান তুলে ফেলে।