আইপিএল ১৩ আয়োজনে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্র, জেনে নিন ফাইনাল ম্যাচের দিনক্ষণ

আর কোনও বাধা রইল না। আইপিএলের আকাশে যেটুকু অনিশ্চয়তার মেঘ ছিল, সেটাও রবিবারের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পর দূর হল। করোনা আবহে সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) টুর্নামেন্ট করার ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে বৈঠকের পরই ঘোষিত হল ফাইনালের চূড়ান্ত দিনক্ষণ।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকেই যে আইপিএল হবে, সে বিষয়ে আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। করোনার জেরে এবার আমিরশাহীতেই টুর্নামেন্টের আয়োজন হচ্ছে। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও। তবে কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল বোর্ড। রবিবার মোদি সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই দেশে টুর্নামেন্টে কোনও আপত্তি নেই তাদের। একই সঙ্গে প্রথমবার মহিলাদের আইপিএল আয়োজনের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। চারটি দল খেলবে ১ থেকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে। এরপরই ঠিক হয়ে যায়, আগামী ১০ নভেম্বর হবে তারকাখচিত টুর্নামেন্টের ফাইনাল। প্রথমবার সপ্তাহের মাঝে হবে আইপিএলের ফাইনাল। ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে দেখা যাবে সেই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।

মোট দশটি ডাবল হেডার ম্যাচ হবে গোটা টুর্নামেন্টে। অর্থাৎ একই দিনে দুটি করে ম্যাচ হবে। তিনটি ভেন্যুতে হবে টুর্নামেন্ট। সারজা, আবু ধাবি আর দুবাই। প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ২৪জনের স্কোয়াড নিয়ে যেতে পারবে। ২৬ আগস্ট দুবাই রওনা দেবে তারা। সেই সঙ্গে করোনা পরিবর্ত নিয়মও বহাল থাকবে আইপিএলে। ইতিমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিতে ভিসার বন্দোবস্ত করতে বলে দেওয়া হয়েছে।

বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি ম্যাচের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যেতে সমস্যা না হয়। তাছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিধিনিষেধ মেনেই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। সন্ধের সমস্ত ম্যাচ শুরু হবে সাড়ে ৭টা থেকে। আর বিকেলের ম্যাচ শুরু ৩.৩০ মিনিটে। কিন্তু দর্শকশূন্য মাঠেই কি হবে খেলা? বোর্ড আধিকারিকের কথায়, “সমর্থকরা এলে তো ক্রিকেটাররাও খেলায় অনুপ্রেরণা পান। তবে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের সুরক্ষা। তাই এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের (ECB) সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তবে দেশজুড়ে চিনাপণ্য বয়কটের মধ্যেও চিনা স্পনসর ধরে রাখারই সিদ্ধান্ত নিল আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আগের সমস্ত স্পনসররাই থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে নেটিজেনরা। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে #BoycottIPL।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.