বিদেশের বিভিন্ন ক্লাব থেকে নিয়ে আসা হয়েছে নামীদামী প্রশিক্ষকদের। ভারতের বাছাই করা মহিলা ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেবেন তাঁরা। ১২ জনের তালিকায় সুযোগ পেলেন না কোনও বাঙালি মহিলা ফুটবলার। তালিকায় উত্তর-পূর্বের ফুটবলারদের দাপট। গুয়াহাটি, ইম্ফল এবং আইজল থেকে রয়েছেন সাত জন। কলকাতা সিসিএফসি-তে সোমবার থেকে একটি শিবির শুরু হয়েছে। সেখানেই আগামী ১১ জুন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নেবেন মহিলা ফুটবলাররা।
অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, স্পেন এবং ক্রোয়েশিয়া থেকে মোট পাঁচ জন কোচ এসেছেন। ভারতের মহিলা ফুটবলারদের তাঁরা প্রশিক্ষণ দেবেন, খেলার খুঁটিনাটি শেখাবেন। পরে বিদেশের ক্লাবে এই ফুটবলারদের খেলার সুযোগও মিলতে পারে। এই উদ্যোগ নিয়েছে ‘উওমেন ইন স্পোর্টস’ নামে একটি সংস্থা। জানা গিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিতে গোটা দেশের মহিলা ফুটবলারদের সামনে একটি ‘ওপেন ট্রায়ালের’ আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকেই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ১২ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বাংলার কোনও ফুটবলার ট্রায়ালে সুযোগ পাননি। মুম্বইয়ের কোলাবার পিফা অ্যাকাডেমি থেকে সুযোগ পেয়েছেন পাঁচ জন। মহিলা আই লিগ জয়ী দল গোকুলম কেরল থেকে রয়েছেন তিন জন। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান অ্যারোজ এবং সেতু এফসি থেকে দু’জন করে রয়েছেন।
মহিলা ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দিতে এসেছেন ওয়েস্টার্ন সিডনি থান্ডার্সের ফুটবল প্রধান টম সেরমানি, ডায়নামো জাগ্রেবের সহকারী কোচ মিয়া মেদভেদোস্কি, মার্বেয়ার কোচ এবং শীর্ষস্থানীয় স্কাউট পেদ্রো মার্টিন মার্কেস, রেঞ্জার্সের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ রস স্টোরমন্থ এবং মেলবোর্ন সিটির সহকারী কোচ ক্যাটলিন ফ্রেন্ড।
কেন এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হল শহরে? ‘উওমেন ইন স্পোর্টস’-এর তরফে সানায়া মেহতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে। ২০১৯-এ বালা দেবী রেঞ্জার্সে সুযোগ পেয়েছিল। কোনও ফুটবলার বিদেশে গেলে তাঁর অর্থ সাহায্য দরকার হয়। আলাদা করে প্রত্যেককে অর্থ সাহায্য না করে আমরা ঠিক করেছি, এ দেশেই নামী কোচেদের নিয়ে এসে ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ দেব। কোচেরা এসে নিজেদের পছন্দমতো অনুশীলন করাতে পারবেন। নির্বাচিত হলে বিদেশের ক্লাবে খেলার সুযোগ পাবেন এই মহিলা ফুটবলাররা।”